Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | সুরাতের পরে ইন্দোর, কিসের ইঙ্গিত?
Fourth Pillar

Fourth Pillar | সুরাতের পরে ইন্দোর, কিসের ইঙ্গিত?

দেশ নাকি এগোতে পারছে না, পারছে না কারণ, দেশে বড্ড বাড়াবাড়ি রকমের গণতন্ত্র রয়েছে

Follow Us :

আগে ক্লাব বা কলেজের নির্বাচনে হত, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় আসত, পরে তা মিউনিসিপালিটি, পঞ্চায়েতে ছড়িয়ে পড়ে, এবারে তা বিধানসভা লোকসভাতেও শুরু হয়ে গেছে। অরুণাচলে ৬০টা বিধানসভা আসনের নির্বাচন হয়ে গেল, জানেন কি? তার মধ্যে ১০টায় ভোট হয়নি, কারণ ১০টা আসনে বিজেপি ছাড়া কোনও প্রার্থীই ছিল না। সন্ধেবেলার কলতলার ঝগড়াতে এ নিয়ে কোনও আলোচনা? নেই। মোদি মিডিয়া এখন ৪০০ পারের স্লোগান কেন বাজারে চলছে না, তা নিয়েই চিন্তিত। ওদিকে সুরাতের কথা তো জানেন, প্রতিদ্বন্দ্বীর মনোনয়ন পত্র বাতিল, অতএব বিজেপি প্রার্থী জিতেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। খাজুরাহোতে আবার মূল বিরোধী প্রার্থী সমাজবাদী দলের যিনি ছিলেন তাঁর মনোনয়ন বাতিল, এবং এগুলো সব কিন্তু শেষ মুহূর্তে, কাজেই সামনে পড়ে আছেন এক নেতাজি ভক্ত ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী, মাঠ খালি। এবার ইন্দোরে, যেদিন মনোনয়ন পত্র ফেরত নেওয়ার শেষ দিন, সেদিনও এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে কংগ্রেসের প্রার্থী তাঁর নমিনেশন পেপার উইথড্র করে নিলেন, খেল খতম পয়সা হজম। মোদিজি ৪০০ পার করতে পারবেন না, ২৭২ পার করা নিয়েই সমস্যা আছে বলেই এগুলো হচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্নটা এক্কেবারে আলাদা। এই মোদি-শাহের জমানায় গণতন্ত্র কি সুরক্ষিত?

বছরখানেক আগের এক ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে। দেশ নাকি এগোতে পারছে না, পারছে না কারণ, দেশে বড্ড বাড়াবাড়ি রকমের গণতন্ত্র রয়েছে, খুব বেশি গণতন্ত্র রয়েছে। কে বললেন? দিলীপ ঘোষ বা কাঁথির খোকাবাবুদের মতো উর্বর মস্তিষ্কের অধিকারী নন, দেশের নীতি আয়োগের সিইও, অমিতাভ কান্ত এই কথা বললেন। হ্যাঁ, ১৯৮০ ব্যাচের আইএএস অফিসার, হার্ভার্ডের ডিগ্রি আছে, তিনি বললেন, দেশে সংস্কার দরকার, শ্রম, কৃষি, ব্যাঙ্কিং, শিল্প সব ক্ষেত্রে দ্রুত সংস্কার দরকার, সরকার নাকি তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাও চালাচ্ছে, হচ্ছে না, কারণ? ওই যে, বেশি রকমের গণতন্ত্র, সেটাই হল সমস্যা। এবার বিটুইন দ্য লাইনস-এ যাওয়া যাক। অমিতাভ কান্ত পাগল নন, আইএএস অফিসার, নীতি আয়োগের সিইও, বুদ্ধিমান মানুষ, হঠাৎ আলটপকা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী বা স্বাধ্বী ঋতাম্ভরা কিছু বলে দিতেই পারেন, অমিতাভ কান্ত কেন বলবেন? তিনি বলেছেন, বলার পর তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, সারা দেশের কৃষকরা এখনও রাস্তায়, তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার, রাইট টু প্রোটেস্ট প্রয়োগ করার জন্যই রাস্তায়, ঠিক তখন তিনি বললেন, দেশে বড্ড বাড়াবাড়ি রকমের গণতন্ত্র আছে, যা উচ্চারণ করলেন না, তা হল, জলকামান কেন? কামান নয় কেন? চালান, তুলে দিন সাংবিধানিক রক্ষাকবচ, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঠান্ডা করা হোক, না হলে এই সংস্কার হবে কীভাবে? শ্রমিক আইন হোক, হায়ার অ্যান্ড ফায়ার আসুক, চাকরির সুরক্ষা চলে যাক, শ্রম আইন সেভাবেই সংশোধন হলেই তো সংস্কারের জোয়ার আসবে। আবার কৃষি বিল আসুক, কর্পোরেটদের হাতে চলে যাক কৃষি, কৃষিজ উৎপাদন, সেটাকেই তো সংস্কার বলে, কৃষকরা তাদের ফসলের ধান, গমের আঁটি পোড়ালে তিন বছরের জেল, আর বন, জঙ্গল, পাহাড় নদী কেটে ডলোমাইট, কপার, খনিজ বের করবে আদানি, সেটা তো উন্নয়ন। তাঁরাও পেয়ে যাবেন বিমান বা জাহাজ বন্দর, সেটা সংস্কার, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে গুলি চলুক, লাশ পড়ুক, কারণ অত গণতন্ত্র দিলে দেশের উন্নয়ন আটকে যাবে, সংস্কার আটকে যাবে, অর্থনৈতিক সংস্কার চাই? না, গণতন্ত্র? গণতন্ত্র থাকলে অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয়, অতএব হে গণতন্ত্র বিদেয় হও।

তো নীতি আয়োগের সিইও এই মূল্যবান কথাগুলো কোথায় বললেন? না, রকে বসে তেলেভাজা খেতে খেতে তো বলেননি, স্বরাজ্য নামে এক পত্রিকার আয়োজনে এক ভার্চুয়াল সেমিনারে, এ কথা বলেছেন। এই স্বরাজ্য পত্রিকাটা নিয়েও দুটো কথা জানা দরকার, একসময়ে এই নামে এক রাজনৈতিক দল ছিল, দলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, চক্রবর্তী রাজগোপালাচারী, তিনি দক্ষিণপন্থী হিন্দু রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাস করতেন বটে, কিন্তু সেটা আরএসএস বা জনসংঘের মতো নয়। এই কাগজে মিনু মাসানি, আর কে লক্ষ্মণের মতো মানুষজন কাজ করেছেন, এ পত্রিকা উঠে যায় ১৯৮০তে। এর বহু পরে ২০১৫ থেকে এই পত্রিকা ছাপা শুরু হয়, ততদিনে এই পত্রিকা উদার দক্ষিণপন্থা থেকে কট্টর দক্ষিণপন্থায় রূপান্তরিত হয়েছে, আপাতত বিজেপির দর্শনভূমির প্রচারক। কিছুদিন আগে ফেক নিউজ, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর খবর প্রকাশের জন্য উইকিপিডিয়া স্বরাজ্য পত্রিকার পাতাটাই তুলে দিয়েছিল। এখানেই বসে বিজেপির আইটি সেলের বহু কন্টেন্ট তৈরি করা হয়। সেই স্বরাজ্য পত্রিকার ভার্চুয়াল সেমিনারে নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এই কথা বললেন, এমনি এমনি বলেননি, এটা বিজেপির কথা, এটা মোদি–অমিত শাহের কথা। বড্ড বেশি গণতন্ত্র দেওয়া হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে সরকার প্রাণ খুলে কাজ করতে পারছে না, দেশ এক অঘোষিত জরুরি অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, কবি, লেখক, গায়ক, সমাজকর্মী, সাংবাদিকরা জেলে, তাঁদের জামিন নেই। এক দিনে জামিন হয় চিল্লানেসরাস অর্ণব গোস্বামীর, নির্বিঘ্নে টাকাপয়সা মেরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় মালিয়া, নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, মোদিজির বন্ধুবান্ধবেরা, পালিয়ে যায় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রজ্জ্বল রেভান্না। কৃষকরা আত্মহত্যা করছে, সারা দেশের জিডিপি নামছে কেবল মোদি ঘনিষ্ঠ আম্বানি, আদানিদের সম্পদ বাড়ছে, বাড়ছে অমিত শাহের পুত্র জয় শাহের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স, মুকেশ আম্বানি পৃথিবীর অন্যতম ধনী বলে ঘোষিত হচ্ছে তখন, যখন সারা দেশের জিডিপি নামছে। আরও সংস্কার চাই, আরও। তার মানে আর যা কিছু বাকি আছে, তাও দিয়ে দাও তাদের ঝোলাতে, এক নতুন কর্পোরেট ইন্ডিয়া উঠে আসবে, সেদিন সুনীল জলধি হইতে।

আরও পড়ুন: মোদি– দু দফার ভোটের পরে অব কি বার ৪০০ পার আর শোনাই যাচ্ছে না

অমিতাভ কান্ত একথা বললেন, বলার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশ থেকে প্রতিবাদ আসতে শুরু করল, দেশে সংবিধান আছে। প্রশ্নের বাণের সামনে, আবার সেই নার্ভাসনেস, কারণ এনারা তো জানেন, যা বলছেন, তার সঙ্গে দেশের সংবিধান, সাধারণ নীতিজ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নেই। অমিতাভ কান্ত সাহেভ টুইট করে বলে দিলেন, কই আমি তো একথা বলিনি! ততক্ষণে তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে, তিনি আপাতত মৌনিবাবা হয়ে বসে আছেন, কোথায় আছেন তাও জানা নেই। এই অমিতাভ কান্ত কেরালা ক্যাডারের আইপিএস, কেরালার বাম এবং কংগ্রেস, দুই জমানাতেই তিনি রাজ্য সরকারের খাস আদমি ছিলেন, গডস ওন কান্ট্রি প্রজেক্ট, এমনকী ট্যুরিজমে অতিথি দেবো ভব স্লোগান তৈরি তাঁর সময়েই। কেরালায় প্রথম বেসরকারি এয়ারপোর্টের কাজও ওনার সময়েই শুরু হয়। তারপর বড় দায়িত্ব, মোদিজির নেকনজরে পড়ে যান, ২০১৬তে। ব্যস, মেক আপ ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া থেকে দিল্লি মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন হয়ে নীতি আয়োগ, তা এই নীতি আয়োগটা কী? The NITI Aayog is a policy think tank of the Government of India, established with the aim to achieve sustainable development goals with cooperative federalism by fostering the involvement of State Governments of India in the economic policy-making process using a bottom-up approach. রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে, পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মাথায় রেখে, কেন্দ্র সরকারের চিন্তা, আলোচনার কেন্দ্র।

ভাবুন একবার সেরকম একটা জায়গায় বসে একজন বলছেন, অতিরিক্ত গণতন্ত্রের জন্য উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে, আরও দ্রুতগতিতে সংস্কারের জন্য এত বাড়াবাড়ি রকমের গণতন্ত্রের কোনও প্রয়োজন নেই, মানে গণতন্ত্র আর উন্নয়ন দুটো বিপরীতমুখী চিন্তাধারা, গণতন্ত্র থাকলে উন্নয়ন হবে না, উন্নয়ন হলে গণতন্ত্র থাকবে না। খানিকটা এই রকম যে ব্রিটিশরা থাকলেই ভালো হত, ওরা হাওড়া ব্রিজ করেছিল। পরাধীনতা গণতন্ত্রহীনতাকে ঠিক যেভাবে মেনে নিয়েছিল সাভারকর, গোলওয়ালকরের দল, ঠিক সেই চিন্তার প্রতিফলন। এবং মজার কথা হল, এই চিন্তাও এদেশের নয়, দুনিয়ায় গণতন্ত্র আসার বহু আগে আমাদের দেশের ষোড়শ জনপদের বহু জায়গায় শুধু গণতন্ত্র ছিল না, অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্র ছিল, মানে পার্টিসিপেটরি ডেমোক্রেসি, যাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাদের প্রতিনিধিদের ডেকে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হত। কৃষকদের ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হত, কোন অঞ্চলে ফসল কেমন, এবং কত খাজনা হওয়া উচিত, কোথায় সেচ আছে, কোথায় নেই, তার ভিত্তিতে খাজনা স্থির হত। কিন্তু গণতন্ত্রের এই ভিত্তিকে ভেঙে ইউরোপেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, গণতন্ত্রের আড়ালে, যেখানে সিজারই শেষ কথা বলেছে, বিসমার্কই শেষ কথা উচ্চারণ করেছে, যেখানে ক্রমশ পার্লামেন্টকে কাজে লাগিয়েই হিটলার তৈরি হয়, সেই হিটলার আদর্শ ছিলেন সাভারকরের, গোলওয়ালকরের। আজকের আরএসএস-এর চিন্তা, দর্শন তো এদের কাছ থেকেই পাওয়া। অমিতাভ কান্ত কেবল তা উচ্চারণ করেছে, ভাসিয়ে দিয়েছে বাজারে, এবার আইটি সেল থেকে বলা হবে সত্যি তো, চীনে কি ট্যাঁ ফোঁ করা যায়? করলেই তো গুলি। সেই জন্যই তো তারা এগোচ্ছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, তাদের প্রত্যেক মানুষের মাথার উপর ছাদ, খাবার, স্বাস্থ্য, শিক্ষার ব্যবস্থা আছে, সেসব কথা বেমালুম চেপে দিয়ে কেবল করলেই তো গুলি, একথা বলে প্রচার চালানো শুরু করবে, এটা এক বিশ্ব দর্শন।

অন্যদিকের দর্শনের কথাটাও জানা দরকার, ইউরোপের, আমেরিকার গণতান্ত্রিক কাঠামো একশোয় একশো পাবে না, কিন্তু এটা তো মানতে হবে, যে সেখানে গণতন্ত্র আছে। যেখানে নেই সেখানে কী অবস্থা? আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, আফ্রিকার দেশগুলো, ল্যাটিন আমেরিকার স্বৈরতন্ত্র শাসিত দেশগুলোর অবস্থা কী? অমর্ত্য সেন তাঁর গবেষণাতে, গণতন্ত্রহীনতার সঙ্গে দুর্ভিক্ষের যোগাযোগের কথা লিখেছেন, যেখানে গণতন্ত্র নেই, যে দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো যত খারাপ, সে দেশে দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতি, অশিক্ষা, অস্বাস্থ্য, নিরাপত্তাহীনতা, নারীদের দুর্দশা তত বেশি, সে দেশ তত বেশি গরিব। চীন, কিউবা বাদ দিলে পৃথিবীর সর্বত্র এ কথা প্রমাণিত, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, কিউবার কমিউনিস্ট পার্টি তাদের ব্যবস্থা সম্ভবত এই অবস্থা থেকে নিজেদের বের করে আনার একটা নতুন কাঠামো এনেছে, তাদের খবরও বেশি পাওয়া যায় না, এখনও এক লৌহ যবনিকার মধ্যেই আছে তারা, তাই চীন বা কিউবাকে বাদই দিলাম, পৃথিবীর সমস্ত দেশে গণতন্ত্র জড়িয়ে আছে উন্নয়নের প্রতি পরতের সঙ্গে। হ্যাপিনেস ইন্ডেক্স মাপা হয়, সারা বিশ্বের। সেখানে প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবনের মান ইত্যাদির সঙ্গেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও মাপা হয়, ভারতবর্ষ, আমার স্বদেশ ১৫৩টা দেশের মধ্যে ১৪৪তম স্থানে আছে, নেপাল, বাংলাদেশের মানুষও আমাদের উপরে। কিন্তু নীতি আয়োগের সিইও বলছেন, দেশে খুব বেশিই গণতন্ত্র আছে, যার ফলে নাকি সংস্কার আটকে যাচ্ছে। ডেমোক্রেসি ইনডেক্সও আছে, যেখানে দেশে দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মাপা হয়, সেখানে আমরা, মানে ভারতবর্ষ ৫১ নম্বরে, এবং এবারে সেই গণতন্ত্রের সর্ববৃহত্তম উৎসবে বিরোধী প্রার্থীরাই উধাও হয়ে যাচ্ছে।

কিচ্ছু এমনি এমনি হয় না। ওই মুনমুন সেনও এমনি এমনি হরলিক্স খান না, মডেল হিসেবে টাকাপয়সার কন্ট্রাক্ট সই করার পরেই ওকথা বলে ছিলেন, আমি তো এমনি এমনি খাই, মনে আছে? কিচ্ছুটি এমনি এমনি হয় না, অমিতাভ কান্তের সাতসকালে মনে হল, আর তিনি ওয়েবিনারে বলে দিলেন দেশে বাড়াবাড়ি রকমের গণতন্ত্র আছে, যার জন্য আটকে যাচ্ছে সংস্কার, না তেমনটা নয়। আরএসএস–বিজেপি এই কথাটা বাতাসে ভাসাতে চায়, এক আলোচনা চায়, যেখান থেকে বেরিয়ে আসবে তাদের ইচ্ছে, গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক অধিকার দেশের উন্নয়ন, সংস্কারের বিরোধী। সেটার প্রথম ধাপ, এই চিন্তাকে অঙ্কুরে বিনাশ করতেই হবে, নাহলে আমাদের ভবিষ্যত ভূতের হাতেই চলে যাবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular