কলকাতা: সন্দেশখালিতে সিবিআই ও এনএসজি অভিযান। শেখ শাহজাহানের এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে শুক্রবার হানা দেয় এনএসজির কমান্ডোরাও। উদ্ধার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, পুলিশের পিস্তল, কার্তুজ, দেশি বোমা, বেশ কিছু নথি। গোটা দেশের এদিন নজর ছিল এই অভিযানের দিকে।এসবের মধ্যেই এনিয়ে মুখ খেললেন কুণাল ঘোষ থেকে মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ সহ বিরোধীরা।
কুণাল ঘোষ (Kunal Ghose) এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিত চক্রান্তে নাটকীয় কাজকর্ম করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে দিল্লির তরফে। আগাম সাজানো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। খবর ছড়িয়ে, যন্ত্র নামিয়ে বাজার গরম করছে। পুলিশের আরও সতর্ক থাকা দরকার।
সন্দেশখালির মতই গোটা পশ্চিমবঙ্গে এনএসজি
(NSG) কমান্ডো ও রোবট দিয়ে সার্চ করা উচিৎ। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির সাতগেছিয়ায় ভোটের প্রচারে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করলেন বলিউড অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। লোকসভা ভোটের মুখে অভিনেতা মিঠুনের এই দাবি রাজ্য রাজনীতিতেও যথেষ্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মিঠুন চক্রবর্তীকে এদিন সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিস্ফোরক ও প্রচুর আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার কথা জানালে তিনি অবশ্য হতবাক হন না। উল্টে তিনি সংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করেন ,“এটা কি কোন নতুন ব্যাপার ? ’একই সঙ্গে তিনি বলেন,“পাওয়াই যাবেতো ওখানে। যত ধরণের নোংরা কাজ তো ওখান থেকেই। রোবট দিয়ে সার্চ করতেই হবে। তাছাড়া আর কোন উপায় নেই। পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গাতে এভাবেই সার্চ করা উচিৎ”।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে দিনভর তল্লাশি, গুলি-বন্দুক, উদ্ধার শাহজাহানের নথিপত্র
এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) বলেন, ‘আমি আর শুভেন্দু পিঠে বোঝা নিয়ে গিয়েছিলাম। দিলীপ ঘোষ আগে থেকে গর্ত খুঁড়ে রেখেছিল। রাহুল সিনহা টর্চ ধরেছিল। আর সুকান্ত-শুভেন্দু একটা একটা করে অস্ত্র রেখেছিলাম ওখানে। আর পাশ থেকে লুকিয়ে দেখছিল কুণাল ঘোষ।
এদিনের সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghose) বলেন,শেখ শাহজাহান সিপিএম আমলে পিস্তুল নিয়ে ঘুরত, আর এখন একে ৪৭ নিয়ে ঘোরে সন্দেশখালিতে এত অস্ত্রশস্ত্র , বোমা ,বন্দুক লুকানো আছে ,ওকে (সাহজাহানে) ঠেঙালে সব বের হবে। ওইসব অস্ত্রশস্ত্র আগে উদ্ধার করতেই হবে ,না হলে ভোটে অনেক জীবনহানি হবেই । টিএমসি এখন সেগুলি বাঁচাবার চেষ্টা করছে। নির্চান কমিশন,সিবিআই , ইডি যারা তদন্ত করছে তাদের দায়িত্ব ওসব উদ্ধার করা । না হলে আবার আর একটা সাজাহান তৈরি হবে। আবার জীবনহানি হবে। সন্দেশখালিতে এনএসজি (NSG) নামাতে হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,ওটা উপদ্রুত এলাকা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যেমন উদ্ধার করা হয় ,তেমনই করা উচিৎ বলে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন।
অন্য খবর দেখুন