Sunday, August 3, 2025
HomeScrollFourth Pillar | মমতা, বাঘেল, হেমন্ত সোরেন, কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হবে?

Fourth Pillar | মমতা, বাঘেল, হেমন্ত সোরেন, কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হবে?

Follow Us :

আগামী তিন মাস দেশের প্রধানমন্ত্রী তেলঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান আর ছত্তিSগড় যাবেন। একদিন কী দু’দিন পরপর যাবেন। এখনও নির্বাচনী বিধিনিষেধ লাগু হয়নি, তাই এখন নানান প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন, শিলান্যাস করবেন। এরপর দলীয় সভা করবেন, রোড শো করবেন। আর নির্বাচনের দিনে এক্কেবারে লাগোয়া অঞ্চলে উনি রোড শো করবেন। ওনার দুটো মোড আছে, একটা নির্বাচন মোড, অন্যটা বিদেশ ভ্রমণ মোড। তো আপাতত উনি ওই নির্বাচন মোডে আছেন, কারণ উনি বিলক্ষণ বুঝেছেন যে হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে সিংহাসন, গদি উল্টোবে। ৩০৩ তো দূরস্থান, ২৪০-এর কাছাকাছি যেতেও দম লাগবে। আর রাজার সবথেকে বড় ভয় সিংহাসন হারানোর, যে কোনও রাজার। আমরা অমন ইন্দিরা গান্ধীকে দেখেছিলাম গদি বাঁচাতে এমার্জেন্সি আনতে। তাতে লাভ হয়নি সেটা অন্য বিষয়। রাজা তাঁর গদি বাঁচানোর জন্য যে কোনও অস্ত্র তুলে নেন, ইতিহাস সেটাই বলছে। আরএসএস–বিজেপির কাছে ২০২৪ এক বিরাট লক্ষ্য। মাথায় রাখুন বিজেপি আরএসএস-এর পলিটিক্যাল উইং, আরএসএস-এর ১০০ বছর পূর্তি ২০২৫-এ, আর তাদের প্রথম লক্ষ্য হিন্দু রাষ্ট্র। কাজেই এত কাছে এসে তারা সেই লক্ষ্য হারাতে রাজি নয়। অনেক নাটক তাঁদের করতে হচ্ছে, রাজঘাটে গান্ধীজির সমাধিস্থলে ফুল দিতে হচ্ছে, ত্রিবর্ণ পতাকা তুলতে হচ্ছে। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানকে লোকদেখানো হলেও মেনে চলতে হচ্ছে। এগুলো তো আরএসএস–বিজেপির নৌটঙ্কি। তাঁরা চান মনু সংহিতা, তাঁরা চান ভাগোয়া ঝান্ডা, তাঁরা চান সাভারকরের সমাধিস্থলে প্রার্থনা, তাঁরা চান হিন্দু রাষ্ট্র। এই কাজ ওনারা করবেন, ২০২৪-এ আবার ক্ষমতায় এলেই করবেন। কাজেই টার্গেটের এত কাছে এসে তাঁরা ফিরে যেতে চান না আর তার জন্য যা যা করার সেটা করে চলেছেন। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের শুরুয়াতি দিনগুলোতেই ওনাদের মনে ধরে এই ভিজিলেন্স এজেন্সিগুলোর কাজ কারবার। এদেরকে কাজে লাগানো যায় সেটাও ওনারা কিছুদিনের মধ্যেই বোঝেন, এবং তারপর থেকে লাগাতার এই কাজ ওনারা মূলত তিনভাবে করে এসেছেন।

প্রথম ভাগে পড়ে বড্ড তেএঁটে কিছু মানুষ, যাদের একজনকেও দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানো যাবেই না। মানে ধরুন ভারাভারা রাও কি গৌতম নওলাখা বা অরুন্ধুতি রায় বা সোমা সেন, উমর খালিদ এঁদের দুর্নীতি ৩০০ হাত মাটি খুঁড়েও মিলবে না। অতএব এনারা দেশদ্রোহী, নকশাল, আর্বান নকশাল, টুকরে টুকরে গ্যাং ইত্যাদি বলে এঁদেরকে জেলে ঢোকাও। কেবল জেলে ঢোকালেই তো হবে না, সাংঘাতিক মামলা দাও। ধরুন ওই অশীতিপর জেসুইট ফাদার স্ট্যান স্বামী, গৌতম নওলাখা, জি এন সাইবাবা, সোমা সেন, সুরেন্দ্র গ্যাডলিং বা ভারাভারা রাওয়ের উপর অভিযোগটা কী? ওনারা নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। যে প্রধানমন্ত্রীর সু্রক্ষার জন্য প্রতিদিন ১ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়, তাঁকে মারার জন্য জেলে পাঠানো হল কাদের? তাঁরা কবি, অধ্যাপক, উকিল, সমাজকর্মী, সাংবাদিক। ঠিক সেই সময়ে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা কী করছিলেন? মানে তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল? অন্যদের কথা তো ছেড়েই দিলাম, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন এগুলো দেশের সুরক্ষার ব্যাপার, তার জন্য এজেন্সি আছে, তাঁরা দেখবেন। মানে ওই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা ওই ধরনের কিছু গণসংগঠন ছাড়া প্রত্যেকে চুপ করে রইল। আরএসএস–বিজেপি সমাজের সব থেকে র‍্যাডিকাল, ভোকাল বিরোধীদের বৃত্তের বাইরে পাঠিয়ে দিল। খেয়াল করে দেখুন কী বাম, কী তৃণমূল, কী কংগ্রেস প্রত্যেকে ইউএপিএ ব্যবহার করেছে, বিরোধীদের টাইট করতেই ব্যবহার করেছে। এরপরে ছিল রাজনীতিবিদদের পালা।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | যে সংবাদমাধ্যমকে কেনা যায়নি, তাদের জেলে পুরছে মোদি সরকার

নির্বাচনে লড়তে হয়, টাকা দরকার, প্রতিবাদ করতে হয়, টাকা দরকার। সরকারে থাকলে বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার ইত্যাদি আছে তা নিয়ে দুর্নীতি হয়, কম বেশি সর্বত্র হয়। এবার সেই দিকে নজর গেল। বেছে বেছে বিরোধী এবং সরব বিরোধীদের বাড়িতে ইনকাম ট্যাক্স, ইডি, সিবিআই গেল। এমনকী সেই সব ব্যবসায়ী যাঁরা কিছুমাত্র সাহায্য করেছেন বিরোধীদের তাদের বাড়িতেও পাঠানো হল এই সব এজেন্সিগুলোকে। একটা পরিসংখ্যান দিই, ইডি ২০২১ থেকে ২০২৩ জানুয়ারি অবধি পিএমএলএ, মানে মানি লন্ডারিং-এর মামলা করেছে ৫৪২২টা। এর মধ্যে একজন, দায়িত্ব নিয়ে বলছি একজনও বিজেপি বিরোধী নেতা নেই। কিছু বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে এসব এজেন্সির মামলা ছিল, তারা দল বদলানোর পরে সেসব মামলা আবার ঠান্ডা ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ উদাহরণ অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, ছগন ভুজবল। কেবল ইডি নয়, সিবিআই এমনকী এনআইএ-রও মামলা ছিল, এখন সব ঠান্ডা। শুভেন্দু অধিকারীর নারদা ভিডিও তো দেখানো হয়েছিল বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর লেনেই। সেদিন বলা হয়েছিল ভাগ শুভেন্দু ভাগ, তিনি ভেগে আপাতত বিজেপিতে। মামলাও বন্ধ। হিমন্ত বিশ্বশর্মা, সারদার মামলা চলছিল, উনি তখন রাহুল গান্ধীর কাছের লোক। তারপর একছুটে বেড়া ভেঙে বিজেপিতে গেলেন, ব্যস, আর সে মামলা ওঠে না, বিলকুল গায়েব। বেছে বেছে বিরোধী দলের দুর্নীতিতে জড়িত নেতাদের গ্রেফতার করার সঙ্গে সঙ্গেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেই, এমনও কিছু বিরোধী দলের নেতাদের দরজায় গেল ইডি-সিবিআই। সারেন্ডার করো, আত্মসমর্পণ। খোকাবাবু হয়ে যাও। দেশজুড়ে তাও চলছে, এবং এ দিয়ে একটা পার্সেপশন তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছিল যে বিরোধী নেতা মানেই তো চোর। কিন্তু দিনের পর দিন সেসব মামলা চলছে, মামলা এগোচ্ছে না, মামলার যথেষ্ট প্রমাণ নেই। অনেকেই বেল পেয়ে যাচ্ছেন, অনেকেই জেলের বাইরে এসে আবার পুরো এনার্জি নিয়ে বিরোধিতায় নামছে। আর সাধারণ মানুষের মনেও ধীরে ধীরে প্রশ্ন তো উঠছে যে সব চোর বিরোধী দলে কেন? সরকারে থাকলে চুরি করার সুযোগ বেশি, চুরি হচ্ছেও কিন্তু ইডি সিবিআই-এর র‍্যাডারে কেবল বিরোধী নেতা, এটাই বা কেমন কথা? তারপর আজ যাদের দুর্নীতিবাজ বলা হল, পরের দিন তাঁরাই বিজেপিতে যোগ দিলেই ক্লিন চিট পাচ্ছে। বিজেপির নেতা প্রকাশ্যেই বলছেন এধারে চলে এসো আমরা ইডি-সিবিআই সামলে দেব। মানুষ বুঝতে পারছে।

কিন্তু এখানেও সমস্যা আছে। বিরোধী দলের মধ্যে খেয়োখেয়ি আছে, তারা সম্মিলিতভাবে এর বিরোধিতা করার বদলে এর ঘরে ইডি ঢুকলে ও উল্লসিত হচ্ছে। আপ-এর নেতাকে ধরলে দিল্লির কংগ্রেস নেতারা উল্লসিত। রাহুল গান্ধীকে ইডি ডাকলে আপ উল্লসিত। তৃণমূলকে ডাকলে কংগ্রেস উল্লসিত আর সিপিএম তো সেই পাগল যার গোবধেও প্রভূত আনন্দ। তাঁরা মিছিল করে ইডি দফতরে গিয়ে দাবি জানাচ্ছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এই খ্যাপাসোনাদের জানাই নেই মমতা, অভিষেক গেলে ক্ষমতায় আসবেন শুভেন্দু দিলীপ, তারপর একটা লাঠিও নীচে পড়বে না। কিন্তু বিরোধীদের মধ্যের এই ভাগাভাগিকে কাজে লাগাচ্ছেন মোদি–শাহ। আর হতচ্ছাড়া সংবাদমাধ্যম। মোদিজি কেন? সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রপ্রধানদের মনে হয় মূলধারার সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলই প্রভাবশালী। কিন্তু গত ১০ বছরে সেই ছবি পাল্টেছে, এখন মূলধারার কাগজ বা টিভি চ্যানেলের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট, ইউটিউব, সামাজিক গণমাধ্যম। কাজেই সেখান থেকেই ধারালো তিরের মতো নেমে আসছে সত্যি, মানুষ তা দেখছেন, জনমত তৈরি হচ্ছে, তাতেই ঘুরে যাচ্ছে খেলা।

অতএব মোদি-শাহ, আরএসএস-বিজেপির নতুন টার্গেট, কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে খবর করছে, সরকারের বিরুদ্ধে খবর করছে বলে গ্রেফতার করলে তো চলবে না। তাই সেখানেও তাদের ফান্ডিং নিয়ে তদন্ত চালাও, ইডি পাঠাও, ইনকাম ট্যাক্স পাঠাও, কড়কে দাও বুঝিয়ে দাও, কথা না শুনে চললে মালিকের ঘরে ইডি পাঠাও। সম্পাদকের নামে দেশজুড়ে মানহানির মামলা করো, বিভিন্ন রাজ্যে হাজিরা দিতে দিতেই জান কয়লা হয়ে যাবে। নিজের সংবাদমাধ্যম বেচে চুপ করে যাবে প্রণয় রায়ের মতো। সেই লাইনেই নিউজক্লিক এবার আক্রমণের মুখে, নতুন ইস্যু চীনের টাকা। চীনের কোম্পানি মোদিজির পি এমকেয়ার ফান্ডে টাকা দিতে পারে, কিন্তু এদেশে সংবাদমাধ্যমে দিতে পারে না। অবশ্য সেও যে দিয়েছে, তারও কোনও প্রমাণ এখনও আমাদের সামনে নেই, আসবেও না। প্রথমে দেশের প্রতিবাদী, র‍্যাডিকাল ফোর্সকে জেলে ঢোকানো গেছে। তারপরে বিরোধী দলের নেতাদের একে একে জেলে পোরার কাজ চলছে। গতকালই আপ নেতা সঞ্জয় সিংকেও জেলে পোরা হল। সংবাদমাধ্যমকে দেশদ্রোহী ঘোষণা করে তাদের সম্পাদক সাংবাদিকদের জেলে পুরে অন্যদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কি সামলানো যাবে? যাচ্ছে? বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, না। বিজেপির তরী তেলঙ্গানা, ছত্তিশগড় বা মধ্যপ্রদেশে ডুবছেই। রাজস্থানেও হাওয়া ঘুরছে, কিছুদিন আগেও যা কেক ওয়াক বলেই মনে হচ্ছিল, এখন কিন্তু সেটা আর নেই। অ্যান্টি ইনকমব্যান্সির হাওয়া অনেকটাই সামলে নিয়েছেন অশোক গেহলত। রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ বা তেলঙ্গানা সামাল দেওয়া যাবে না। তারও চেয়ে বড় কথা হল সামাল দেওয়া যাবে ২০২৪? না যাবে না, বুঝেছেন মোদিজি। তাই টার্গেট চার জন মুখ্যমন্ত্রী, একজন উপমুখ্যমন্ত্রী। ডিসেম্বরের মধ্যে এঁদের জেলে পুরতে পারলে মোদিজি মনে করছেন খানিক স্বস্তি পাবেন। তাঁর মাথাব্যথা দিল্লির কেজরিওয়ালকে নিয়ে, মাথাব্যথা বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল আর ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনকে নিয়ে। এরই সঙ্গে ওনার নজর আরজেডির নেতা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দিকে। এই পাঁচজনকে জেলে পুরে দিলেই রাস্তা বিলকুল সাফ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন মোদি–শাহ। তার প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে গেছে, এবং এটাও সত্যি যে এই কাজ করে উঠতে পারলে বিজেপি আপাতত খানিক স্বস্তি তো পাবেই। এক পরিকল্পনা মাফিক তাঁরা এগোচ্ছেন, এসব গ্রেফতার যে একেবারেই দুর্নীতি ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত তার ভূমিকা তৈরি করা হচ্ছে। বিরোধী নেতাদের অনেকে সেটা জানেন, বুঝেছেন, তাঁদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া এই বিপদকে আটকানোর কোনও পথ নেই, সেটাও বুঝেছেন। কিন্তু সবাই তা বুঝেছেন? মনে হয় না।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Trump-Putin | ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব রাশিয়ার, নর্দার্ন নৌবহরে রাশিয়ার 'নিয়াজ পোঝরস্কি'
00:00
Video thumbnail
SIR Issue | বিহার SIR নিয়ে বাড়ছে সমস্যা, স্বচ্ছতা কমছে, ধোঁয়াশা বাড়ছে, কী কী সমস্যা দেখা যাচ্ছে?
00:00
Video thumbnail
Aadhar Update | ব্লক করা হল ১ কোটি আধার! কেন? দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Loksabha News | সায়নী vs কঙ্গনা লোকসভায় এই দ্বৈরথ না দেখলে মিস
00:00
Video thumbnail
Durgapur Incident | দুর্গাপুর কাণ্ডে ধৃ/তদের আদালতে পেশ, কী নির্দেশ?
00:00
Video thumbnail
Durgapur Incident | দুর্গাপুর কাণ্ডে ধৃ/তদের আদালতে পেশ, কী নির্দেশ?
11:55:01
Video thumbnail
SIR Issue | বিহার SIR নিয়ে বাড়ছে সমস্যা, স্বচ্ছতা কমছে, ধোঁয়াশা বাড়ছে, কী কী সমস্যা দেখা যাচ্ছে?
04:18:10
Video thumbnail
Aadhar Update | ব্লক করা হল ১ কোটি আধার! কেন? দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
04:00:15
Video thumbnail
Trump-Putin | ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব রাশিয়ার, নর্দার্ন নৌবহরে রাশিয়ার 'নিয়াজ পোঝরস্কি'
01:35:39
Video thumbnail
North Bengal | ধসের জেরে বিচ্ছিন্ন বাংলা-সিকিম বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা, দেখুন সেই ভয়াবহ ভিডিও
03:10

Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39