দার্জিলিং: বাংলা জুড়ে সবুজ সুনামিতেও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো মাথা উঁচু করে রইল পাহাড়। দার্জিলিং পুরসভার ৩২টি আসনের মধ্যে এককভাবে ১৮টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করল হামরো পার্টি (Hamro Party Darjeeling)। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২টি আসন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পেয়েছে ৩টি আসন, এবং অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএম পেয়েছে ৯টি আসন। জিএনএলএফ বা বিজেপির ঝুলিতে একটি আসনও জোটেনি (Darjeeling Civic Polls Result)।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি, কখনও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, কখনও জিএনএলএফের সাহায্য নিয়েই জয়ী হয়ে আসছে। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ বুঝতে পেরেছেন, প্রতিবার ভোটের আগে বিজিপি এসে তাঁদের কাছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে ভোটে জিতে চলে যায়। তাই পাহাড়ের মানুষ বিকল্প দল খুঁজছিলেন। বিজেপি-ঘনিষ্ঠ জিএনএলএফের ক্রমাগত পদ্মজোটে থাকার বিরোধিতা করেই দলের দার্জিলিং টাউন সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড গত ২৫ নভেম্বর হামরো পার্টি গঠন করেন।
আরও পড়ুন: West Bengal Civic Polls Result: বঙ্গ বিজেপির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে
পুরভোটের এই ফলাফল প্রমাণ করে পাহাড়ের মানুষ বিজেপি বা বিজেপির ঘনিষ্ঠ দলের সঙ্গে আর নেই। পাহাড়ে এবারের লড়াইটা ছিল যথেষ্ট চমকপ্রদ। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল জিএনএলএফ। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, তৃণমূল কংগ্রেস এবং অনিত থাপার দল এককভাবে লড়েছে। হামরো পার্টির এই জয় প্রমাণ করল, আগামী দিনে বিজেপির পাহাড়ে আর কোনও স্থান নেই। বিমল গুরুং, বিনয় তামাং বা অনিত থাপারা যে পাহাড়ের মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছেন, তা আজকের ফলাফলেই স্পষ্ট। আগামিদিনে পাহাড়ে যে হামরো পার্টি প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত কিন্তু পাহাড়বাসী এই নির্বাচনেই দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা পাহাড়ের অন্য তিনটি পুরসভাসহ জিটিএ ভোটের জন্য।