কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিমান-বিপর্যয়ের প্রতিবাদে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) বিক্ষোভ দেখাল আইএনটটিটিইউসি। মঙ্গলবার দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের নেতৃত্বে বিমানবন্দর অধিকর্তার অফিসের সামনে তুমল বিক্ষোভ হয়। বিমান বিপর্যয়ের সঠিক তদন্তের দাবিতে অধিকর্তাকে স্মারকলিপিও দেয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন (INTTUC)। পরে সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেন, আমরা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চাই। দোষীদের যথাযোগ্য শাস্তি চাই। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। আইএনটিটিইউসির আরও অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও বড়সড় চক্রান্তও থাকতে পারে।
গত শুক্রবার বারাণসী থেকে কলকাতা ফেরার পথে মাঝআকাশে এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। অবতরণের সময় বিমানটি ভীষণ ভাবে কাঁপছিল। পাইলট দক্ষতার সঙ্গে অনেক নীচে নামিয়ে নিয়ে আসেন বিমানটি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর বিমানের সামনে অন্য একটি বিমান এসে পড়েছিল। সংঘর্ষ এড়াতে পাইলট অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিমানটি প্রায় ৮ হাজার ফুট নীচে নামিয়ে নিয়ে আনেন। আর ১০ সেকেন্ড হলেই বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারত। আচমকা ঝটকায় কোমরে ও বুকে ব্যথা পান তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, কলকাতা থেকে বারাণসী যাওয়ার সময়ও টারম্যাকে একটা সমস্যা হয়। ওই ঘটনার কোনও তদন্ত না করায় ঘনিষ্ঠ মহলে মুখ্যমন্ত্রী ডিজিসিএ-র বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
সাধারণত যে বিমানে মুখ্যমন্ত্রী চলাফেরা করেন, শুক্রবার সেই বিমানটি ছিল না। রাজ্য সরকারের ভাড়া করা অন্য একটি বিমানের সওয়ারি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর অন্য সঙ্গীরা। মুখ্যমন্ত্রী এও দাবি করেন, আবহাওয়ার গোলযোগের কারণে ওই দিন বিপর্যয় হয়নি। এই নিয়ে দুবার বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। প্রথমটি বাগডোগরা থেকে ফেরার পথে, এবং দ্বিতীয়টি শুক্রবার। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন। কিন্তু তাতে এখনও কিছুই স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: Privilege Motion Against Suvendu: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে তৃণমূল
প্রশ্ন উঠছে, সেদিন ওই ঘটনায় কার দোষ ছিল? এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের গাফিলতি, নাকি পাইলটের কোনও দোষ, নাকি কোনও চক্রান্ত ছিল সেদিন? সেই প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তরের দাবি করছে তৃণমূল। আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে যাতে কোনওরকমের বিপদ না ঘটে, সেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানান তৃণমূলের সমর্থকেরা।