নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যে দলের বিপর্যয়ের দায় নিজেদের ঘাড়ে রাখল না কংগ্রেস হাই কমান্ড৷ সরাসরি তা প্রদেশ কংগ্রেসের উপরেই চাপিয়ে দেওয়া হল৷ কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর মঙ্গলবারের নির্দেশেই তা স্পষ্ট৷ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখাণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইট করে একথা জানিয়েছেন৷ যদিও এই নির্দেশের আগেই মঙ্গলবার সকালে বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের দায় স্বীকার করে ইস্তফা দিয়েছেন গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ চোড়নকর। বাকি চার রাজ্যের উত্তরপ্রদেশের অজয় কুমার লাল্লু, পঞ্জাবের নভজ্যোৎ সিংহ সিধু, উত্তরখণ্ডের গণেশ গোদীয়াল, এবং মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এন লোকেন সিংহকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে৷
Congress President, Smt. Sonia Gandhi has asked the PCC Presidents of Uttar Pradesh, Uttarakhand, Punjab, Goa & Manipur to put in their resignations in order to facilitate reorganisation of PCC’s.
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) March 15, 2022
ভোটে কংগ্রেসের খারাপ ফলের পর সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির দলীয় সংগঠনের বড় রদবদল করা হতে পারে বলে আগেই গুঞ্জন উঠেছিল। কংগ্রেসের নেতৃত্ব বদলের প্রশ্নে দলের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল বিস্ফোরক মন্তব্য করেন৷ তাঁর মতে, অবিলম্বে সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সরে দাঁড়ানো উচিত। নতুনদের নেতৃত্বের সুযোগে দেওয়া দরকার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে ওই বিস্ফোরক মন্তব্য করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল (Congress leader and former Union Minister) বলেন, চিন্তন বৈঠক করে কাজের কাজ করে কিছু হবে না। আসল কথা হল, নেতৃত্বের বদল চাই। তাঁর আরও প্রশ্ন, কংগ্রেসের নেতৃত্বে কারা থাকবেন, তা স্থির করার অধিকার দলের ওয়ার্কিং কমিটির নেই। গুটিকয়েক লোক বসে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সেই সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি। কিন্তু, বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে তেমনভাবে সরব হননি। নেতৃত্ব বদলের কোনও জোরালো দাবিও ওঠেনি। আনন্দ শর্মা, গুলাম নবি আজাদের মতো বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা মৃদুস্বরে কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন মাত্র। ওই বৈঠকে আরও স্থির হয়, সংসদের অধিবেশন শেষ হলে এপ্রিল মাসে চিন্তন বৈঠকের আয়োজন করা হবে। ফের বসবে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক।
আরও পড়ুন: India-Pakistan: পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের মিসাইল, তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকার
বৈঠকের শুরুতেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, নেতারা চাইলে আমরা এখনই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি আছি। পরে অবশ্য ওয়ার্কিং কমিটি সোনিয়া গান্ধীর উপরই আস্থা রাখে। স্থির হয়েছে, নির্ধারিত সময়মতোই দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হবে। সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাচিত সভাপতি না হওয়া পর্যন্ত সোনিয়াই সভানেত্রীর পদে থাকবেন।
তাহলে ভরাডুবির দায় কে নেবে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর পাওয়া না গেলেও পাঁচ রাজ্যের সভাপতিদের ইস্তফা দেওয়াতেই বক্তব্য স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহলের একাংশ৷ আরও একটি বিষয় পাঁচ রাজ্যের নতুন সভাপতি কাদের করা হয়ে সেবিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ৷