কলকাতা: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা (Rampurhat political violence) পরিস্থিতি নিয়ে অবিলম্বে (Rampurhat Clash)কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করল বিজেপি। রামপুরহাটের (Political Violence) ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিধানসভা ভবন থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। সেখান থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধায়করা দার্জিলিংয়ে অবস্থানরত রাজ্যপালের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন (Birbhum Rampurhat Fire Deaths)।
পরে শুভেন্দু বলেন, আমরা চাই, অবিলম্বে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক। রাজ্যপাল দ্রুত কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করুন। ৩৫৫ বা ৩৫৬, কোন ধারা প্রয়োগ হবে, সেটা রাজ্যপালের ব্যাপার। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাই বলে জানান বিরোধী নেতা।
শুভেন্দু বলেন, এক সপ্তাহে রাজ্যে ২৬ জন খুন হয়েছেন। এর পরেও বলতে হবে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো? তাঁর দাবি, বড়শালের পঞ্চায়েত উপ প্রধান ভাদু শেখ বালি মাফিয়া ছিলেন। তাঁর খুনের ঘটনার এনআইএ তদন্ত করতে হবে। এবং বগটুই গ্রামের গণহত্যার সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।
এদিন বিধানসভায় রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিসমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিজেপি বিধায়করা। সেই দাবি অধ্যক্ষ না মানায় বিজেপি সদস্যরা ওয়াকআউট করেন। পরে লবিতে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: ভাদুর দাদা খুনেও পুলিস কিছু করেনি, ক্ষোভ উগরে দিলেন সদ্য পুত্রহারা মা
বিরোধী নেতা লবিতে বলেন, বিধানসভা বা লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত বাইরে ঘোষণা করা যায় না। কিন্তু রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে সিট গঠনের ঘোষণা করা হল নবান্ন থেকে। তাঁর অভিযোগ, আসলে তৃণমূল সরকার সংসদীয় নিয়মকানুন কিছুই মানতে চায় না। তিনি জন্য, বুধবার তাঁরা রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাবেন। পুলিস যেখানে আটকাবে, সেখানেই বসে পড়বেন বিজেপি বিধায়করা।
এদিন এর আগে শুভেন্দু টুইটেও অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, রাজ্যে চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে। পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে।