মেঙ্গালুরু: বজরং দলের তিন কর্মীকে আটক করার অপরাধে মেঙ্গালুরুতে চার পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি পুলিসের কাছে অভিযোগ জানান, কাতিল মন্দিরের বাইরে নারকেল জড়ো করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে বজরং দলের কর্মীদের বচসা হয়। তাঁকে হেনস্তাও করা হয়। এই অভিযোগ পেয়েই পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিন বজরং কর্মীকে বাজপি থানায় আটক করে নিয়ে আসে। কেন বজরং দলের কর্মীদের আটক করা হয়েছে, তা নিয়ে হইচই জুড়ে দেয় বিজেপি। সেই ‘মারাত্মক অপরাধে’ সাসপেন্ড হতে হল থানার চার পুলিস কর্মীকে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বজরং দলের তিন কর্মীকে থানায় আনতেই সেখানে চলে আসেন ঈশ্বর কাতিল। তিনি পুলিস অফিসারদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদের পর বজরং দলের তিন কর্মীকে ছেড়েও দেওয়া হয়। পরে তারাই অভিযোগ করে, থানায় পুলিস তাদের মারধর করেছে।
এরপরই ফের আসরে নামে বিজেপি। সাজানো হয় চিত্রনাট্য। ওই তিন বজরং কর্মীকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে হাজির হন স্থানীয় বিজেপি নেতা নলিন কুমার কাতিল। এরপরই পুলিস জানায়, বিভাগীয় তদন্তের পর চার পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

পদস্থ পুলিস কর্তারা দাবি করেন, যাদের থানায় আটক করে আনা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিস কর্তাদের মনে হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বারতি বলপ্রয়োগ করা হয়েছে, যার কোনও দরকার ছিল না।
বিরোধীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, বজরং বাহিনীকে আটক করার জন্য চার পুলিসকর্মীর এই হাল হল। এর থেকেই বোঝা যায় শাসকদলের কথামতো না চললেই তাদের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে।