টোকিও: হিংসা, নৈরাজ্য, সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন মানবতাকে সংকটের মুখে দাঁড় করিয়েছে৷ গৌতম বুদ্ধের পথ অনুসরণ করে সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা দরকার বিশ্বের৷ জাপানে দাঁড়িয়ে বিশ্বকে ‘বুদ্ধং শরণম গচ্ছামি’ মন্ত্রে দীক্ষিত করে তোলার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
কোয়াড বৈঠকে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে জাপান পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ তার আগে সোমবার রাজধানী টোকিওতে অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন তিনি৷ সেখানে ভারতের উন্নয়নে জাপানের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন নমো৷ প্রায় ৪০ হাজার ভারতীয়র সামনে তিনি বলেন, ‘ভারতের বিকাশে জাপান সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে৷ জাপানের সঙ্গে আমাদের অন্তরঙ্গ, সহযোগিতাপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে৷’ ভারত ও জাপান ‘ন্যাচারাল পার্টনার’ বলে অভিহিত করেন মোদি৷
জাপানে এসে সেখানকার মানুষের ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এ দিন তিনি হোটেলের বাইরে কচিকাঁচাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান৷ একটি বাচ্চা মেয়ের হাতে ড্রয়িং স্কেচ দেখে সেখানে অটোগ্রাফ দেন মোদি৷ আর একটি বাচ্চা ছেলেকে গড়গড় করে হিন্দিতে কথা বলতে শুনে তার প্রশংসাও করেন৷ পরে ভারতীয়দের মঞ্চে তিনি বলেন, ‘আমি যখনই জাপানে আসি এখানকার মানুষের প্রচুর ভালোবাসা পাই৷ আপনাদের অনেকেই এখানে বহু বছর ধরে আছেন৷ দীর্ঘদিন এখানে থাকতে থাকতে এই দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন৷ তা সত্ত্বেও এখানে আপনাদের জন্যই ভারতের সংস্কৃতি ও ভাষার প্রসার ঘটছে৷’ মোদি জানান, মন থেকে ভারতীয়রা তাদের ‘কর্মভূমির’ প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন ঠিকই৷ কিন্তু ‘মাতৃভূমির’ প্রতি তাঁদের ভালোবাসা কখনও কমে না৷ ভারতীয়রা মাতৃভূমি থেকে দূরে থাকতে পারেন না৷ এটাই ভারতীয়দের সবচেয়ে বড় শক্তি৷
আরও পড়ুন: Goa CM: গোয়ায় পর্তুগিজদের ধ্বংস করা সব মন্দির ফের গড়ে তোলা হবে: মুখ্যমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির প্রতি জাপানে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দীপনা ঠিক কতটা তা বোঝা যায় অনাবাসীদের কথাতেই৷ আলাপচারিতা শুরুর আগে এক ভারতীয় বলেন, ‘জাপানিরা রাজনীতি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামান না৷ কিন্তু ২০১৪ সালের পর মোদিজি এবং তাঁর কাজ সবার নজর কেড়েছে৷ জাপান ও ভারত সাংস্কৃতিক এবং ব্যবসায়িক দিক থেকে একে-অপরের অনেক কাছে এসেছে৷ তাই আজ মোদিজিকে দেখতে প্রচুর লোক এসেছেন৷’