কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। মনোনয়ন জমা হবে আজ, মঙ্গলবারেই। কিন্তু, তার আগেই দেশের বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইঁদুর দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। এদিকে, গোতাবায়ার দেশ ছেড়ে পালানোর পর কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘকে বসানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এদিনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। সর্বোচ্চ আদালত যদি এই অন্তর্বর্তী নিয়োগকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে, তাহলে নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে হবে বিক্রমসিঙ্ঘেকেও।
সমাগি জন বালাওয়েগায়া দলের কলম্বো থেকে জেতা এমপি সাজিথ ছিলেন এই নির্বাচনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু হঠাৎই তিনি এই দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ায় জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবারই তিনি টুইট করে জানান, দেশের মঙ্গলের জন্য এবং আমার দেশের জনগণ, যাঁরা আমার কাছে খুবই প্রিয়, তাঁদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনে তিনি আরেক প্রার্থী ডালাস আল্লাহপেরুমাকে সমর্থন দেবেন। প্রসঙ্গত, আগামকাল, বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে শ্রীলঙ্কায়।
Sri Lanka Presidential race officially begins: Three MPs nominated during Parliament session today for the vacant post of President. Parliament vote tomorrow
Dullas Alahapperuma
Ranil Wickremesinghe
Anura Kumara Dissanayake pic.twitter.com/6MLlOsTHJQ— NewsWire ?? (@NewsWireLK) July 19, 2022
আরও পড়ুন: Margaret Alva: আজ মনোনয়ন পেশ করবেন বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী মার্গারেট আলভা
এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। পার্লামেন্টের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ডালাস আল্লাহপেরুমা এবং বামপন্থী নেতা অনুরা দিশানায়কের লড়াই হবে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে ডালাসকে প্রধান বিরোধী দলনেতা সাজিথ সরাসরি সমর্থন ঘোষণা করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিজ নিজ দলগুলি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তাঁদের মনোনীত প্রার্থী ঠিক করেন। মাত্র ১০ মিনিটের সেই বৈঠকে শেষমেশ ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই এসে ঠেকেছে। তার ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগেই সাজিথ প্রেমদাস টুইট করে জানিয়ে দেন, তিনি লড়াইয়ে থাকছেন না। বরং, গোতাবায়া রাজাপক্ষের দল এসএলপিপি’র বিক্ষুব্ধ নেতা ৬৩ বছরের ডালাস আল্লাহপেরুমার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, প্রেমদাস এবং ডালাস রাতারাতি নিজেদের মধ্যে অলিখিত চুক্তি করেছেন। যেখানে একজন প্রেসিডেন্ট হলে, অন্যজন প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন। যদিও রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, যিনি ৬ বারের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর দিকেও এসএলপিপির বহু এমপির সমর্থন রয়েছে। ৭৩ বছর বয়সি বিক্রমসিঙ্ঘের রাজনৈতিক কৌশল ও বিচক্ষণতা এঁদের অনেকের থেকেই বেশি। তাহলেও দেশজুড়ে বিক্রমসিঙ্ঘে বিরোধী হাওয়া এদিন আরও জোরাল হওয়ায় বুধবার ভোটে কী ঘটতে চলেছে, তা সময়ই বলবে।