পটনা: বিহারে আস্থা ভোটে জয়ী হলেন নীতীশ কুমার। বুধবার বিকেল নাগাদ বিজেপি বিধায়করা ভোটাভুটির আগেই সভাকক্ষ ত্যাগ করায় ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এমনিতেই বিধানসভায় নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের মহাগাঁটবন্ধন সংখ্যায় এগিয়ে ছিল। আস্থা ভোটের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বক্তব্যের সময়ই বিজেপি বিধায়করা বেরিয়ে যেতেই নীতীশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এদিন আস্থা ভোটের বিতর্কে অংশ নিয়ে নীতীশ কুমার কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের প্রকল্পের কৃতিত্ব নিচ্ছে দিল্লি। তাঁর দাবি, হর ঘর জল— প্রকল্পটি ছিল রাজ্যের। গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পটি ছিল বাজপেয়ি জমানার। এসবের জন্য কেন্দ্রের এই সরকারের কোনও কৃতিত্ব নেই।
এর আগে তেজস্বী যাদবও বিজেপিকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘বিজেপির তিন জামাই। আইটি, ইডি ও সিবিআই।’ আস্থা ভোটের বিতর্কে তেজস্বী আরও বলেন, বিজেপি তাদের বিরুদ্ধেই এজেন্সি লেলিয়ে দেয়, যারা তাদের সামনে মাথা ঝোঁকায় না কিংবা বিক্রি হয় না। তাঁদের ও নীতীশের মহাগাঁটবন্ধন অটুট থাকবে, এই দাবিও করেন তেজস্বী। তিনি আরও বলেন, আরজেডির সামনে দুটি রাস্তা খোলা। একটি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মুখ বুজে সহ্য করা। অথবা গান্ধী ও রামমনোহর লোহিয়ার দেশকে বাঁচাতে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া।
এদিন দুপুরে বিধানসভায় নীতীশ কুমারের শক্তি পরীক্ষার জন্য বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় নীতীশ-তেজস্বী জোটের পক্ষে ১৬৪ জন বিধায়ক। সেই হিসেবে আস্থা ভোটে জয় ছিল কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তবে রাজনৈতিক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে এদিনই সকাল থেকে চাকরির বদলে জমি দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই তল্লাশি চালানোয়। লালুপত্নী রাবড়িদেবীর ভাইসহ আরজেডির বিভিন্ন নেতার বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চলায় খড়্গহস্ত হয়েছে দল।