সিউড়ি: অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal) নামটা শুনলেই বীরভূমে বাঘে, গোরুতে একঘাটে জল খেত। তিনি ছিলেন একচ্ছত্র রাজনৈতিক সম্রাট। ভোটে তৃণমূলের প্রধান এবং বলা ভালো একমাত্র সেনাপতি। সে তার গরম গরম ভোট প্রচারই হোক, কিংবা মজাদার জীবনযাপন। এই জমানায় আর কোনও পার্টির জেলা সভাপতি এতটা প্রচারের আলোয় আসেনি। সেই অনুব্রতর গড় এখন মুকুটহীন। তিনি জেলে বন্দি। বীরভূম জেলা তৃণমূলের শক্তঘাঁটি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার সেখানে সব নেতাদের নিয়ে ভোট প্রচারের কৌশল (strategy) ঠিক করতে বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে (absence) যাতে কোনও খামতি না পড়ে সেটা দেখাই এখন প্রধান কাজ। বৈঠক হবে রাতে।
সেই বৈঠকের আগে ফিরহাদ বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একটি মামলায় জড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি জেলা সভাপতি হিসেবেই রয়েছেন। বীরভূম জেলা অন্য নেতারা ভালোভাবেই চালাচ্ছেন। জেলা নেতৃত্ব অত্যন্ত সবল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটি চক্র বাংলাভাগ করতে চাইছে। আমরা বাংলার ছেলেরা রক্ত দিয়ে দেব, কিন্তু, বাংলা ভাগ হতে দেব না।
রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim) সমস্ত স্তরের নেতাদের একত্র করতে ওই বৈঠকে বসতে চলেছেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ, শনিবার রাতে সেই বৈঠক হওয়ার কথা। এদিন তারাপীঠে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে মন্ত্রীর। তা সেরে এসেই ওই বৈঠক করবেন ফিরহাদ। তবে কিছুদিন আগে যখন বীরভূমে এসেছিলেন তখনও এধরনের বৈঠক করেছিলেন।
আরও পড়ুন Nadia TMC: ফের তৃণমূলের দাদাগিরি, জমি বিবাদে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ
পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে ধরে নিয়ে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ৮ তারিখ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর শুরু হচ্ছে। জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গেও তৃণমূলের প্রতিনিধিরা যাতায়াত শুরু করেছেন।
এর আগের বছর পঞ্চায়েতে বিভিন্ন জায়গায় ভোট করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। জোর করে কার্যত বিনা ভোটে বহু পঞ্চায়েত দখলের অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ ৬ জন শিক্ষা কর্তা। তারপরে গ্রামীণ এলাকার এই ভোট। রাজনৈতিক মহলের সবার নজর তাই ওই পঞ্চায়েত ভোটের দিকে।