কামড়-কাণ্ডের তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। মঙ্গলবার ডিসি সাউথ (২) বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় কনস্টেবল (Constable) ইভা থাপাকে (Iva Thapa) ডেকে পাঠান তাঁর দফতরে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ছাড়া ঘটনার দিন অকুস্থলে অন্য যে সব কনস্টেবল উপস্থিত ছিলেন, তাঁদেরও কয়েকজনকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিসি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওইদিন প্রকৃত কী ঘটেছিল, তা জানতে চাওয়া হয় ইভার কাছে। গোটা ঘটনা জানতে চান পুলিশ কর্তা। অরুণিমা পাল নামে যে চাকরিপ্রার্থীর (Job Candidate) হাতে ইভা কামড়ে দেন বলে অভিযোগ, তিনি অবশ্য মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন না। অরুণিমা ডিসিকে জানান, পারিবারিক কারণে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি এদিন আসতে পারছেন না। রবিবার জানিয়ে দেওয়া হবে, কবে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: Salim on Central Grants: কেন্দ্রের বরাদ্দ, রাজ্যের খরচ নিয়ে শ্বেতপত্রের দাবি সিপিএমের
সোমবারই ডিসি সাউথ (২) বু্দ্ধদেব মুখোপাধ্যায়ের ওই দুজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। কিন্তু নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য ব্যস্ত থাকবেন বলে ওইদিন জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়।
গত বুধবার ২০১৪ সালের টেট (TET) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে তুলকালাম হয় এক্সাইড (Exide More) মোড় এবং ক্যামাক স্ট্রিটে (Camac Street)। অভিযোগ, পুলিশ আন্দোলনকারীদের মারধর করে, টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তোলে। টানাটানি চলার সময়ই ক্যামাক স্ট্রিটে ইভা নামে ওই মহিলা কনস্টেবল অরুণিমার হাতে কামড় বসিয়ে দেন। পরে অরুণিমাকে গ্রেফতারও করা হয় অন্য ২৯ জন আন্দোলনকারীর সঙ্গে। পরের দিন অবশ্য সকলে জামিন পান। ধৃতদের লালবাজার-সহ কলকাতার কয়েকটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, থানাগুলিতেও তাঁদের সঙ্গে পুলিশ দুর্ব্যবহার করে। পুলিশের পাল্টা দাবি, অরুণিমাও ইভাকে কামড়ে দিয়েছিলেন। তার জন্য নাকি তিনি হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। অরুণিমা সাগর দত্ত হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানকার ডাক্তার তাঁর হাতের ওই ক্ষত মানুষের কামড়ের বলেই উল্লেখ করেন সরকারি প্রেসক্রিপশনে।