লাহোর: পাকিস্তানে (Pakistan) ধর্মীয় স্থানে হামলা পুলিশের (Police) প্রতি প্রতিহিংসা (Revenge) থেকে হয়েছে। এমনটাই মনে করছে সেখানকার পুলিশ। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছিল। সেজন্য পুলিশকে টার্গেট করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এমনটাই দাবি সেখানকার পুলিশের। পেশোয়ারে ওই হামলায় ৯৬ জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সেখানকার শহরের পুলিশ প্রধান মহম্মদ ইজাজ খান (MD Ijaj Khan) বুধবার জানিয়েছেন, পুলিশ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে তাই এই হামলা ।
মঙ্গলবার ওই হামলায় মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০। মঙ্গলবার বিকেলে সেই সময় ওই ধর্মীয় স্থানে ৩০০-৪০০ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বিস্ফোরণে ওই ধর্মীয় স্থানের দেওয়াল ও ছাদ উড়ে যায়। পুলিশ ফোর্সের দৃঢ়তার মনোবলকে ভেঙে দেওয়ার জন্য এই হামলা হয়েছে বলে দাবি । ওই বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ২৩ বছরের পুলিশ কনস্টেবল ওয়াজাহাত আলি। বিস্ফোরণে পা ভেঙে গিয়েছিল। তিনি বলেন, সাত ঘণ্টা মৃতদেহের মাঝে আটকে ছিলাম। বাঁচার সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। শহিদ আলি নামে একজন জানিয়েছেন, আমি কালো ধোঁয়া দেখে সেখান থেকে দৌড়ে বেরিয়ে চলে আসি।
আরও পড়ুন: India Pakistan: এমন ভারতেও হয়নি, মসজিদে জঙ্গি হামলা নিয়ে বিস্ফোরক পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী!
পেশোয়ারের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবানের শাসন চালু হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে ওই ধরনের ঘটনা বেড়েছে। মূলত পাকিস্তানি তালিবান, ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখা এর পিছনে রয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ ফোর্সের প্রধান মোয়াজ্জেম জা আনসারি বলেন, ওই ওআত্মঘাতী জঙ্গি অতিথি হিসেবে ওই ধর্মীয় স্থানে আসে। ১০-১২ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে সে এসেছিল।
পাকিস্তান তালিবান এই হামলার পিছনে থাকতে পারে। সেখানকার মন্ত্রী রাণা সানাউল্লা বলেন, তিনজন সাধারণ মানুষ ও ৯৭ জন পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া ২৭ জন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করে চলেছে। তাদেরকে আক্রমণ করে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাওয়া হচ্ছে। এই হামলার নিন্দা করেছে আমেরিকা (US)। রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) সাধারণ সম্পাদক আন্তোনিও গুতারেসও নিন্দা করেছেন।