মেদিনীপুর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভুটি ঘিরে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) সব জেলাতেই গত কদিন ধরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। কোথাও ব্যালট পেপার ছিনতাই হচ্ছে, কোথাও ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলা হচ্ছে, কোথাও গোছা গোছা ব্যালট পেপার জমা পড়ছে, আবার কোথাও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনও গোলমাল না হয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে, তার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন জেলা নেতৃত্ব। মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট প্রক্রিয়া মসৃণ রাখতে প্রথম বৈঠক হল রবিবার। মানস ভুঁইয়া (ManasBhunia) সহ জেলার শীর্ষ নেতারা হাজির ছিলেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুরেও যাতে কোনও ঝামেলা না হয় তার জন্য আরও তিন দফায় বৈঠকে বসবেন জেলার নেতারা।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মে মাসের শেষের দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রবেশ করবে অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে ঢুকবেন তিনি। এই কেশিয়াড়িতেই বিজেপির মজবুত সংগঠন রয়েছে। তাই সেখানেই রাত্রিবাসের পরিকল্পনা রয়েছে অভিষেকের। হবে সমাবেশও। এরপর খড়গপুর গ্রামীণ, শালবনি হয়ে ঘাটাল পরিক্রমা করে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবেশ করবে তাঁর জনসংযোগ যাত্রা।
আরও পড়ুন:Anubrata Mandal | মেয়েকে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি, এটা কোনও বাহাদুরির নয়, মন্তব্য কেষ্টর
অন্যান্য জেলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুরেও দলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। তাই সেই বিষবাষ্প আগে থেকেই বের করে দেওয়ার লক্ষ্যে চার দফায় বৈঠক করছে জেলা তৃণমূল। প্রথম দফার বৈঠক হল রবিবার। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মানস ছাড়াও বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, শ্রীকান্ত মাহাত, অজিত মাইতি ও অন্যান্যরা। বৈঠক শেষে মানস বলেন, প্রাথমিক প্রস্তুতি বৈঠক হল। এরপর ৬ মে মেদিনীপুরের প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে বৃহৎ আকারে জেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক হবে। তারপরে ঘাটালে একটি ও ডেবরাতে মহিলাদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হবে। তিনি আরও বলেন, অভিষেকের নতুন এই উদ্যোগ সফল করতে হবে। এত বড় দলে টুকটাক বিশৃঙ্খলা হতেই পারে। এটা বড় কোনও সমস্যা নয়।
এদিন মেদিনীপুর শহরে জেলা নেতৃত্ব আরও একটি প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনকে নিয়ে। বৈঠকে মানস বলেন, বিরোধী কর্মী সংগঠন বিভিন্ন স্থানে আমাদের দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বেড়াচ্ছে। অবিলম্বে তার মোকাবিলায় আমাদের মাঠে নামতে হবে। ইতিমধ্যেই আমরা যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছিলাম তা অনেকটাই হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত অফিসে সংগঠন আরও মজবুত করে গড়ে তুলতে হবে। সক্রিয়ভাবে যাতে অংশ নিয়ে বিরোধী সংগঠনকে মোকাবিলা করতে পারে তার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এদিন বিজেপি সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেও বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন তিনি। বিরোধীদেরও বিভিন্নভাবে জবাব দিয়েছেন।