কলকাতা: কলকাতায় (Kolkata) ফের ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যু। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম পরেশ সাউ (৬৩) ঠাকুরপুকুরের ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বাঁচারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেদিনই তাঁর রক্তপরীক্ষা করানো হয়। ডেঙ্গির রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা কিছু নেই। এক কথায় বলা যায় মশার আঁতুঘর হয়ে রয়েছে দু’নম্বর বাঁচারপাড়া এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, কোনও নিকাশি ব্যবস্থা নেই। তার জন্য বর্ষার জল সমস্ত জায়গায় জমে রয়েছে। কাউন্সিলরও কোনও কাজ করছে না। ওই এলাকায় এখনও বেশ কিছু পরিবারের সদস্য জ্বরে আক্রান্ত। মাস দুয়েক আগে এই এলাকারই আরও এক জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়। তারপরও কেন হুঁশ ফেরেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
এদিকে, দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। মৃতের নাম শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৮)। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্যামলীদেবী বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় উল্টোডাঙার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে তাঁর ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হলে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। সোমবার রাত্রিবেলা মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর শংসাপত্রে তাঁর ডেঙ্গি উল্লেখ রয়েছে।
রাজ্যে প্রতি দিনই ডেঙ্গিতে কোনও না কোনও মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসছে। সরকার এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। কিন্তু বেসরকারি হিসাবে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এর বেশি। প্রায় প্রতি দিনই ২৫০ থেকে ৩০০ জন করে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গিমৃত্যুর খবর এসেছে।
দেখুন আরও অন্য খবর: