সিউড়ি: অনুপস্থিত পঞ্চায়েত প্রধান। আর তাই প্রধানের চেয়ারে বসে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন ভাসুর। ঠিক এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি কলকাতা টিভি ডিজিটাল। ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতিতে।
রাজনগর ব্লকের গাংমুড়ি জয়পুর পঞ্চায়েত। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে সই করছেন এবং পরামর্শ দিচ্ছেন দিলীপ সাহা নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি বা তাঁর স্ত্রী কেউই এই পঞ্চায়েতের প্রধান নন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যিনি পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর নাম তাপসী মণ্ডল সাহা। আর তারই ভাসুর হন এই দিলীপ সাহা। পঞ্চায়েত প্রধান তাপসীর স্বামী কলকাতা পুলিশে কর্মরত। সেই সূত্রে তিনিও থাকেন কলকাতায়। তাঁই পঞ্চায়েত প্রধানের পদ সামলাচ্ছেন তাঁর ভাসুর দিলীপ বলে অভিযোগ।
দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, প্রধানের চেয়ারে বসে অন্য কেউ পঞ্চায়েত চালাতে পারেন না। পঞ্চায়েত দফতরের উচিত জনগণের স্বার্থে আইনের স্বার্থে এই সমস্ত ঘটনাকে তদন্ত করা। যদি কেউ এরকম করে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: গাজার সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা হবে, জানালেন আমেরিকার বিদেশসচিব
ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির তরফে যেটা বলা হয়েছে প্রধান থাকেন না তাঁর ভাসুর পঞ্চায়েত চালান, সেটা সত্য না। প্রধান নিজেই সমস্ত কাজকর্ম করেন। দলীয় কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত থাকেন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত থাকেন। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের বিশেষ বিশেষ কাজেও তিনি উপস্থিত থাকেন। বর্তমানে তাঁর স্বামী অসুস্থ থাকার জন্য তিনি বাধ্য হয়ে কিছুদিনের জন্য কলকাতা গিয়েছেন। সেটা নিয়ে বিরোধী পক্ষ অপপ্রচার করছে। মানুষ সময়মতো কাজ পাচ্ছে সেটা সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করলেই বোঝা যাবে। এটা যদি ঘটে থাকে তাহলে সেটা খুব গর্হিত কাজ হচ্ছে। তবে আমার মনে হয় সেই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। যদি ঘটে থাকে তাহলে তারা উপযুক্ত জায়গায় অভিযোগ দায়ের করুন। বিধি ব্যবস্থা আছে, বিধান আছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।