ওয়েব ডেস্ক: সোমবার আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের (Sealdah Court) বিচারক অনির্বাণ দাস (Judge Anirban Das)। একই দিনে দেশের অন্য প্রান্তের একটি মামলায় শোনানো হল ফাঁসির সাজা। প্রেমিককে বিষ খাইয়ে খুন করেছিলেন প্রেমিকা। সেই মামলাতেই প্রেমিকাকে প্রাণদণ্ড দিল তিরবনন্তপুরমের অতিরিক্ত দায়রা আদালত (Additional District Session Court)।
প্রেমিক শ্যারনরাজকে (Sharonraj) খুন করেছিলেন প্রেমিকা গ্রিশমা (Greeshma)। তবু মৃত্যুশয্যাতেও প্রেমিকের ভালোবাসা এতটুকু কমে যায়নি। এই মামলাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে ২৪ বছরের গ্রিশমাকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত। বিচারক জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে দোষীর বয়স বিচার্য নয়। হত্যাকাণ্ডে সাহায্য এবং প্রমাণ লোপাটের দায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে গ্রিশমার কাকা নির্মল কুমারকে। খালাস পেয়েছেন গ্রিশমার মা সিন্ধু।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় সুপ্রিম স্থগিতাদেশ
১৭ জানুয়ারি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন প্রেমিকা। তাঁর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, গ্রিশমার বয়স কম, তিনি ভালো ছাত্রী, তাঁকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হোক। ২০২২ সালে খুনের ঘটনার পর অনেকটা সংশোধন হয়েছে তাঁর বলে দাবি করেন আইনজীবী। কিন্তু এই সওয়ালে কর্ণপাত করেনি আদালত।
বাড়ি থেকে অন্য এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। তাই সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে চেয়েছিলেন গ্রিশমা কিন্তু রাজ হননি শ্যারন। এরপর শ্যারনকে বাড়িতে ফুসলিয়ে এনে বিষ মেশানো আয়ুর্বেদিক তরল পান করান তাঁর প্রেমিকা। গ্রিশমার বাড়ি থেকে বেরনোর পর বিষের প্রভাব অনুভব করেন প্রেমিক। কী খাওয়ানো হয়েছে তা গ্রিশমাকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন শ্যারনের বাবা-মা যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা করা যায়।
আদালত সাজা শোনানোর সময় জানায়, গ্রিশমা এমন একজনের সঙ্গে এই কাজ করেছেন যিনি তাঁকে ভালোবাসতেন। এই ঘটনা সমাজের প্রতি ভালো বার্তা নয়। এই মামলায় তদন্তকারী দলের প্রশংসা করেছে আদালত, বলা হয়েছে, তদন্ত খুবই বুদ্ধির সঙ্গে করা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: