কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ক্ষমতা থাকলেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না। অথবা চার্জশিট বানানোর জন্য অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না। পুলিশকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চার্জশিট তৈরি করার সময় কর্তব্যরত অফিসারের ওপর ১৭০ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড (CrPC) ধরার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। চার্জশিট তৈরি করার জন্য সবসময় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার উপর জোর দেওয়া হয়। যা নিতান্তই ট্রায়াল কোর্টের অভ্যাস এবং ভুল।
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ভারতীয় সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সেই কারণেই বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল এবং হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, অভিযুক্তকে জেলে না পাঠিয়ে যদি তদন্ত সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে অকারণে তাঁকে জেল হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অকারণে পুলিশি হেফাজতে নিলে তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার জের, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল
বেঞ্চ জানিয়েছে, একমাত্র তদন্তের স্বার্থে যদি মনে হয় অভিযুক্ত পালাতে পারে অথবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। তবে, যদি অভিযুক্ত তদন্তে সমস্ত রকমের সাহায্য করতে রাজি থাকে তাঁকে গ্রেফতার করার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশ ভোট কীভাবে, দিল্লিতে অমিত-নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক যোগীর
অনেক্ষেত্রেই দেখা যায় অভিযুক্ত সহযোগিতা করছেন। অথচ জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চার্জশিট তৈরি হয়ে যাওয়ার পর মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে তাঁকে হেফাজতে রেখে দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট ছাড়া অন্যান্য হাইকোর্টও এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে যে ফৌজদারি আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকার করতে পারেনা অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করার কারণে।
ধার ১৭০ এ ‘আটক’ শব্দটি পুলিশ বা বিচারকের হেফাজতের কথা বলা হয়নি। এটি শুধুমাত্র চার্জশিট পেশ করার সময় তদন্তকারী অফিসার কর্তৃক আদালতে অভিযুক্ত কে উপস্থাপনের নির্দেশ। সেক্ষেত্রে অকারণে অভিযুক্তকে আটক করা অনুচিত।