ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে (President) কি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নির্দেশ দিতে পারেন? এই একটি বিষয় নিয়ে এখন চর্চা সর্বত্র। তামিলনাড়ু সরকারের অভিযোগ ছিল বিল রাজ্যপাল আটকে রেখেছন। সেই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্যপাল কোনও বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালে তাঁকেও তিন মাসের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এতেই বিতর্ক শুরু হয়। উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের সমালোচনা করেন। তাঁর সঙ্গে সুর মেলান একাধিক বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ। এতেই বিতর্ক বাড়তে থাকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন, ওই সব কথার সঙ্গে একমত নয় দল। এক্স হ্যান্ডলে নাড্ডা লিখেছেন, বিচার বিভাগ ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সংক্রান্ত নিশিকান্ত দুবের বক্তব্যের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মত। বিজেপি এর সঙ্গে সহমত পোষণা করে না। এধরনের বক্তব্য সমর্থনও করে না। এই সব বক্তব্য মানে না। তবে এই ঘটনাকে বিজেপির ড্যামেজ কন্ট্রোল বলে আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি এ দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। তারা হাত বাড়াচ্ছে আদালতের দিকেও।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জোসেফ কুরিয়েন এই বিষয়ে একটি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, সংবিধানের ৪১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের হাতে এই ক্ষমতা রয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের সুরে সুর মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশে তোপ দেগেছিলেন দুই বিজেপি নেতা দীনেশ শর্মা ও নিশিকান্ত দুবে। বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ঝুঁকি বাড়ছে? জগদীপ ধনখড়কেও কি পরোক্ষে সতর্ক করল বিজেপি? সুপ্রিম কোর্টকে সমালোচনা ইস্যু আলোড়ন ফেলছে।
আরও পড়ুন: বিজেপির হিন্দুত্বের পোস্টার কেড়ে নিতে উদ্ধব ও রাজ কাছাকাছি?
দেখুন অন্য খবর:







