ওয়েব ডেস্ক: ২০২৪-এর পর ২০২৫-এর জুলাইয়েও অশান্তু বাংলাদেশ (Bangladesh Unrest)। সেবার সংঘর্ষ থামাতে পারেননি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina), এবারেও রীতিমতো ব্যর্থ মহম্মদ ইউনুস (Mohammed Yunus)। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের (Gopalganj Violance) রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুধুমাত্র এদিনের সংঘর্ষেই সেখানে কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। অশান্তি এখন কিছুটা থেমে থাকলেও গোটা এলাকায় এখনও ছড়িয়ে ভয় আর ও আতঙ্ক।
বাংলাদেশ পুলিশের (Bangladesh Police) একাংশের দাবি, গোপালগঞ্জে যে হিংস ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। হাতে ছিল গোয়েন্দা তথ্যও। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। হাসিনাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষজন ইউনুসের হাত ধরে যে শান্তি ও সমৃদ্ধির খোঁজ করছিল, তা তো পায়নি। উল্টে ফের শুরু হয়েছে অশান্তি, যা থামাতে রীতিমতো ব্যর্থ ইউনুস প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পাক সফরে আসছেন না ট্রাম্প, ভুল খবর পরিবেশন পাক সংবাদমাধ্যমের
ঘটনার সূত্রপাত হয় নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি-র গোপালগঞ্জ পদযাত্রাকে ঘিরে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের দাবি আওয়ামি লিগ এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আগেই এনসিপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া, এনসিপি নেতাদের মারধর এবং আটকানোর পরিকল্পনাও করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, শহরের বিভিন্ন এলাকায় আগেভাগেই গ্রাম থেকে লোক এনে মোতায়েন করা হয়েছিল। একাধিক এলাকায় ছড়ানো হয়েছিল গুজব। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দিনভর চলে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলি।
এই ঘটনার পরপরই পুলিশ ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গোপালগঞ্জের সংবেদনশীলতা নতুন নয়। এটি মুজিব পরিবারের শক্ত ঘাঁটি। ফলে এনসিপির মতো বিরোধী দলের পদযাত্রা যে উত্তেজনার জন্ম দেবে, তা অনুমান করা কঠিন ছিল না। সব মিলিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি-র উত্থান উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রে।
দেখুন আরও খবর: