ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ম্যাঞ্চেস্টারে ঋষভ পন্থকে (Rishabh Pant) ব্যাট হাতে মাঠে নামতে দেখে অনেকের মনে ২০০২ সালের অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) ছবি ভেসে উঠেছে। ভাঙা চোয়ালে ব্যান্ডেজ বেঁধে তিনি বোলিং করেছিলেন। সেই অদম্য জেদ আর ইচ্ছেশক্তি এবার দেখা গেল ঋষভের মধ্যে। পায়ে অসহ্য ব্যথা (Injury) নিয়ে খুঁড়িয়ে নামলেন মাঠে। তবে চোখেমুখে সেই ব্যথার ছাপমাত্র ছিল না। ৫১ মিনিট ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকলেন, নিজের মেজাজে মারলেন চার-ছয়। শুধু তাই নয়, এদিন লড়াকু পন্থের ‘রেকর্ডবুক’-এ জুড়ে গেল আরও একাধিক নজির (Record)।
খোঁড়া পায়ে ব্যাটিং করে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে রোহিত শর্মার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন পন্থ। শুধু তাই নয়, বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি অর্ধশতরান করা উইকেটকিপারের তালিকাতেও এখন পন্থ শীর্ষে। টেস্টে বীরেন্দ্র শেহওয়াগের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিকও এখন তিনিই।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ নিয়ে কাটল জট! শর্ত চাপাল BCCI
গত বিশ্বকাপে অজি তারকা ম্যাক্সওয়েল, আর এবার ঋষভ পন্থ- চোট নিয়েও রানার ছাড়া ব্যাটিং করে ভক্তদের মন জয় করেছেন। কিন্তু এসবের মাঝে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে- অসুস্থ বা আহত ক্রিকেটারদের প্রতি কি আইসিসি যথেষ্ট সংবেদনশীল? কারণ, আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, চোট পাওয়া পন্থকে ব্যাট করতে কেউ বাধ্য করেনি। কিন্তু ব্যাট করতে না নামলে গোটা টেস্টে ১০ জন ব্যাটার নিয়েই খেলতে হত ভারতকে। ফলে দলের ভারসাম্য রক্ষার তাগিদেই বাধ্য হয়ে নামতে হয় পন্থকে।
ক্রিকেটবিশ্বের একটা বড় অংশের প্রশ্ন, যদি উইকেটকিপারের পরিবর্ত খেলোয়াড় নামানো যায়, তাহলে সেই পরিবর্তকেই কেন ব্যাট করতে দেওয়া হবে না? ২০১৭ সাল থেকে এমসিসি (MCC) নিয়ম করেছে, চোট পাওয়া উইকেটকিপারের পরিবর্তে মাঠে নামা খেলোয়াড় কিপিং করতে পারলেও ব্যাট করতে পারেন না। বর্তমান পরিস্থিতি সেই নিয়ম পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখাচ্ছে বলেই মত অনেকের।
দেখুন আরও খবর: