বীরভূম: পাথর খাদানে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে ৬ শ্রমিকের। আহত বেশ কয়েকজন। এই ঘটনার পর শনিবারও কার্যত থমথমে বীরভূমের নলহাটি থানার বাহাদুরপুর গ্রামের পাথর খাদান এলাকা। গোটা এলাকা জুড়ে কার্যত শোকের ছায়া। কি করে ঘটল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ? তদন্ত করছে পুলিশ। অন্যদিকে এখনও কেউ চাপা পড়ে আছে কি না তারও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রামপুরহাট গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদের ময়নাতদন্ত করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের নলহাটি ১ ব্লকের বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চলে। খাদানটি অবৈধ বলেই দাবি জেলা প্রশাসনের। সে খাদান কী করে চালু ছিল, উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানৌতর। জানা গিয়েছে, যে খাদানে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি ভোলা ও বাহাদুরপুর গ্রামের মাঝে শালডাঙা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা নলহাটির বাসিন্দা। তাদের মধ্যে লালবাবু শেখ ও হজরত আলির বাড়ি বাগানপাড়ায়। সামিফল শেখের বাড়ি মহুলা গ্রামে। আবির শেখ সরেহার বাসিন্দা। আবির সম্পর্কে সামিউলের জামাইবাবু। মৃত অন্য দুজন হলেন রথু মন্ডল ও কাজল লেট তাদের বাড়ি সিংডহরি ও কাদাসির গ্রামে। জখম চারজনকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানও হয়েছে। একজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বরের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরেও নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চলের মহিষাগড়িয়ায় খাদানে পাথর চাপা পড়ে প্রান গিয়েছিল তিন শ্রমিকের। সে সময় প্রশাসন জানায়, ওই খাদানটি বেআইনি হওয়ায় সেটিকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি যে বদলায়নি,এদিনের দুর্ঘটনায় ফের তা স্পষ্ঠ।
দেখুন খবর: