ওয়েব ডেস্ক: ‘ভুল ধারণা’, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইনকে সুপ্রিম স্বীকৃতি দানের রায় পুনর্বিবেচনার আরজি খারিজ করে মন্তব্য। ২০০৮ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন সম্পর্কে ২০২০ সালের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনকারী কন্টাই রহমানিয়া হাই মাদ্রাসাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির। কাঁথির ওই প্রতিষ্ঠানের ‘সম্পূর্ণ ভুল ধারণা’ নিয়ে আবেদন বলে অভিমত আদালতের।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক বসন্ত দুপারে বনাম ভারত সরকারের মামলার রায় অনুসরণে ওই মাদ্রাসা আইন সংক্রান্ত রায়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক, এই আবেদন করেছিল মাদ্রাসাটি।
ধারাবাহিকভাবে মৌলিক অধিকার খর্ব হলে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসরণে নিজের দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বিবেচনার স্বার্থে নতুন করে শুনানি করতে পারে। অভিমত-সহ খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের প্রাপ্তের সাজা অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসরণে আদালত নতুন করে শুনানি করেছিল। কিন্তু অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসরণে নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া মামলার হামেশাই পুনর্বিবেচনা করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তা সত্ত্বেও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের রায় এই দৃষ্টান্ত অনুসরণে শুনানি করার আর্জি।
আরও পড়ুন: আরও এক মামলায় জামিন পার্থর, জেলমুক্তি কবে?
দুপারে রায় ছিল মৃত্যুদণ্ড সম্পর্কিত। সেই আবেদনে মুক্তি বা বন্দিত্বের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আরজি জানানো হয়নি। দ্বিতীয়ত, ১৯৬৬ সালের সাংবিধানিক বেঞ্চের নরেশ মিরাজকার বনাম মহারাষ্ট্রের মামলার রায় অনুসরণে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার যোগ্যই নয়। নয় বিচারপতির বেঞ্চ সেখানে বলেছিল, যথাযথ আদালত দ্বারা ঘোষিত রায় মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অভিযোগে অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। এর সমাধান রয়েছে আপিল অথবা রিভিউ আবেদনে, জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে ২০২০ সালের রায়ে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ওই আইন অনুযায়ী মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের অধিকার কমিশনকে দেওয়া হয়। যদিও ২০১৫ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করার অভিযোগে ওই আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। বলা হয়, অধিকার বলে সংখ্যালঘুরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে নিজেরাই চালাতে পারে। কিন্তু হাইকোর্টের সেই রায় বদলে যায় সুপ্রিম কোর্টে। টিএমএ পাই ফাউন্ডেশন মামলা সহ আরও কিছু রায়ের উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, জাতীয় ও শিক্ষার উৎকর্ষ বৃদ্ধির স্বার্থে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুর প্রতিষ্ঠানে সম্পর্কিত দেশজ আইন সকলের ক্ষেত্রেই সমান এবং কার্যকর।
দেখুন অন্য খবর: