Monday, September 22, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollপ্রকাশ্যে সমালোচনা! ভোটমুখী বিহারে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত RJD!
Bihar

প্রকাশ্যে সমালোচনা! ভোটমুখী বিহারে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত RJD!

লালু কন্যার বিস্ফোরক মন্তব্যে অস্বস্তিতে তেজস্বীর ডানহাত সঞ্জয়!

ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections) আগে নতুন করে বিতর্কে বিহার (Bihar)। সৌজন্যে লালুর পরিবার। পারিবারিক দ্বন্দ্বে এবার লাগল রাজনৈতিক রং। প্রকাশ্যে এল আরজেডি-র (RJD) অন্দরের কোন্দল। দলে তেজস্বী ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় যাদবের (Sanjay Yadav) গুরুত্ব বৃদ্ধি দেখে প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করে চর্চায় লালু কন্যা রোহিনী। তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হওয়ার পর একাধিক অ্যাকাউন্ট আনফলো করে ফের জল্পনা উসকে দেন রোহিনী। কিন্তু কে এই সঞ্জয় যাদব? যাকে নিয়ে দ্বিভাজিত আরজেডি পরিবার।

বিহারে আরজেডি-র কার্যনির্বাহী সভাপতি তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) আস্থাভাজন ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় যাদবকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দলের সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিনী আচার্য (Rohini Acharya) সোশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্জয়কে নিয়ে সরব হওয়ায় এই বিতর্কে প্রকাশ্যে আসে। তেজস্বীর সাম্প্রতিক পাঁচ দিনের ‘বিহার অধিকার যাত্রা’-য় সঞ্জয় যাদবকে তাঁর গাড়ির সামনের সিটে বসতে দেখা যায়। এতে সমালোচনাও হয়। আর সেটাকেই উসকে দেন রোহিনী। পরিস্থিতি সামলাতে পরে সেই সিটে দলিত নেত্রী রেখা পাসওয়ান ও শিবচন্দ্র রামকে বসানো হয়। এরপর রোহিণীও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান, “লালু প্রসাদের সমাজনৈতিক ন্যায় আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই হলো বঞ্চিতদের সামনে আনা।”

আরও পড়ুন: “জিএসটিতে আসল কৃতিত্ব রাজ্যের, কেন্দ্রের শুধু ভাষণ”! তোপ মমতার

এরপর থেকেই রোহিণীকে নিশানা করে অনলাইনে সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ তাঁর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভিযোগ আনতে থাকেন। পাল্টা রোহিণী লেখেন, তাঁর কোনও রাজনৈতিক লালসা নেই—না বিধানসভা, না রাজ্যসভা, না সংসদীয় আসন—কিছুই তিনি চান না। বিতর্কের মাঝেই তিনি এক ঝটকায় একাধিক অ্যাকাউন্ট আনফলো করেন, যার মধ্যে ছিলেন লালু ও তেজস্বীও। যদিও এই ঘটনায় এখনও লালু পরিবার থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে রোহিণীর দাদা ও প্রাক্তন মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব প্রকাশ্যে বলেন, “আমার বোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। তাঁর উদ্বেগ যথার্থ।” তিনি আগেও সঞ্জয় যাদবের বাড়তে থাকা প্রভাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, হরিয়ানার বাসিন্দা সঞ্জয় যাদব প্রথমে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের মাধ্যমে তেজস্বীর সংস্পর্শে আসেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি তেজস্বীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। তেজস্বীর প্রথম রাজনীতিতে নামার প্রস্তুতি, সমাজতান্ত্রিক সাহিত্য পাঠ থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হওয়ার মহড়া—সবই ছিল সঞ্জয়ের পরিকল্পনায়। ২০২০ সাল পর্যন্ত রাজদে সমান প্রভাবশালী ছিলেন সঞ্জয় ও রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা। কিন্তু গত দুই-তিন বছরে সঞ্জয় যাদব ধীরে ধীরে সব সিনিয়র নেতাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে তেজস্বীর প্রায় সমস্ত বৈঠক, কর্মসূচি ও সংবাদমাধ্যমে উপস্থিতি তাঁর হাত দিয়েই সমন্বিত হয়। তাই ভোটমুখী বিহারে আরজেডি-র অন্দরে এই অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে ফের শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।

দেখুন আরও খবর:

 

Read More

Latest News