ওয়েবডেস্ক- দীর্ঘ সময় ধরে টালবাহানা, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। অবশেষে সারা রাত ধরে দীর্ঘ জেরার পর সাত মাসের মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার মায়ের। যা শুনে স্তম্ভিত তদন্তকারী অফিসারেরাও। আলিপুরদুয়ারে এই ঘটনায় অবাক হয়ে গেছেন স্থানীয় মানুষ থেকে পাড়া প্রতিবেশীরাও। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) দক্ষিণ চেচাখোতা (South Chechakhota) গ্রামের ঘটনা। শিশুটির মায়ের এই কাণ্ডে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পাড়া প্রতিবেশীরাও।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। সাত মাসের শিশুটি (Seven months old baby) হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে যায়। আলিপুরদুয়ার জংশনের দক্ষিণ চেচাখোতা গ্রামে স্ত্রী, বাবা ও সাত মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকতেন জয়দীপ ঘোষ। শুক্রবার যখন শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন বাড়িতে ছিলেন না জয়দীপবাবু (Joydeep) । সেই সময় বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী ও বাবা। খবর পেয়েই দ্রুত বাড়িতে চলে আসেন তিনি। স্ত্রী পূজা (Puja) দে ঘোষ স্বামীকে জয়দীপকে জানান বাচ্চাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জয়দীপ পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন এসডিপিও শ্রীনিবাস এম পি ও অন্যান্য পুলিশ কর্তারা।
পুলিশ কুকুর নিয়েও শুরু হয় তল্লাশি। দিনভর তল্লাশির পরেও খোঁজ মেলে না ওই শিশুর। পরিবারের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মায়ের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। দীর্ঘ জেরায় পুলিশের কাছে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে পূজা। তার পরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পূজা জানায় খুনের পর সে শিশু সন্তানের দেহ পাশের একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ডেঙ্গু রুখতে উদ্যোগী মহেশতলা পুরসভা, জলাশয় ও খালে ছাড়া হল গাপ্পি মাছ
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুক্রবার দুপুরে সাত মাসের মেয়েকে খাওয়ানোর পর ঘুম পাড়িয়ে শ্বশুরকে খেতে দিতে আসে পূজা। শ্বশুরকে খেতে দিয়ে ঘরে চলে যায়। তার পরেই চিৎকার করে ওঠে পূজা। বউমার চিৎকার শুনে খাবার ফেলে ছুটে আসেন শ্বশরমশাই। তিনি তখন জানান, মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। খবর চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পূজার স্বামীকে। রাতেই ডুবুরি নামিয়ে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী (Alipurduar District Superintendent of Police Y. Raghuvanshi) বলেন, মহিলাকে রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয়। কেন খুন করল তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কী কারণে পূজা নিজের একরত্তি সন্তানকে খুন করলেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পূজা কী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। না মেয়ে সন্তান হওয়ার জন্য কোনও চাপ ছিল পরিবারের থেকে।
দেখুন আরও খবর-







