কলকাতা: ঘড়িতে তখন রাত আটটা৷ পার্কস্ট্রিট-ধর্মতলা চত্বর দেখলে বোঝার উপায় নেই৷ যে জনজোয়ার শনিবার সকালে ভিক্টোরিয়া-চিড়িয়াখানা-গড়েরমাঠ-নিক্কোপার্ক-ইকোপার্কে দেখা গিয়েছে একের হেলায় উড়িয়ে দেওয়ার মত৷ দেখলে বোঝার উপায় নেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নাকি দরজায় কড়া নাড়ছে৷
শুরুটা হয়েছিল আজ সকাল থেকেই৷ চেটেপুটে বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে পথে নেমেছিল আট থেকে আশি সকলেই৷ ভিক্টোরিয়া থেকে মিলিনিয়াম পার্ক তিল ধারণের জায়গা ছিল না কোথাও৷ বাস-ট্রেন-মেট্রো সর্বত্রই ভিড় চোখে পড়েছে৷ অধিকাংশের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক৷ যেন ওমিক্রন নামক করোনার আতঙ্ককে ভুলে গিয়েছেন সবাই৷
বড়দিনে রঙিন আলোয় সেজে উঠেছে অ্যালেন পার্ক৷ কেকের সুবাস, রঙিন আলোর সাজে উত্সবমুখর পার্ক স্ট্রিট৷ সান্তার উপহারের অপেক্ষায় কচিকাঁচারা। বড়দিনের জন্য নিরাপত্তার নিরাপত্তার বিন্দুমাত্র গাফিলতি রাখেনি কলকাতা পুলিশ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতই, নিশ্ছদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে গোটা শহরে৷ রয়েছেন সাদা পোশাকের পুলিস৷ ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলছে নজরদারি৷ অন্য দিকে চিকিৎসকেরা বারবার সতর্ক করেছেন৷ মাস্ক পরতে অনুরোধ করেছেন৷ করোনাবিধি মানতে বলেছেন৷ আর এখানেই যেন অনিহা সাধারণের৷
গত কয়েকদিনে দেশের নানা প্রান্তে ওমিক্রনের সংখ্যা বেড়েছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬৭ জন৷ বেশ কিছু শহরে করোনাবিধি নিষেধ আরও কঠোর করা হয়েছে৷
আবহাওয়ায় আজ মনের মতো৷ খুব গরম নেই৷ আবার ঠান্ডায় জবুথবু ভাবও নেই৷ এমন একদিনে আনন্দ উপভোগ করতে বাদ দেননি কেউ৷ বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং৷
কিন্তু, শেষে একটা আশঙ্কায় থেকে যায়, এই আনন্দই কোনও নিরানন্দকে ডেকে আনছে না তো? সামনেই বর্ষবরণ৷ বছেরর শেষদিনও কি এমন ভিড়ের ছবিই দেখা যাবে?