কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ (Covid-19 Third Wave) সপ্তাহ খানেক আগেই হানা দিয়েছে বঙ্গে। হু হু করে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যে। একধাক্কায় কয়েক গুন বেড়ে গিয়েছে পজিটিভিটি রেট। সংক্রমণের হারের নিরিখে আপাতত দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। বাংলায় বহু মানুষ করোনা (Covid19) আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে খুব কম জনকেই। হাসপাতালে ভর্তি কোভিড পজিটিভ রোগীদের সেভাবে অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে (Covid-19 Third Wave) অক্সিজেনের চাহিদা অনেকটাই কম হবে।
তৃতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের চাহিদা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর সময় এখনও আসেনি বলে জানালেন অতিমারি বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায়। তিনি বলেন, ‘আগের দুটি ঢেউ শুরু হওয়ার পর প্রথম চারদিন অক্সিজেন সেভাবে লাগেনি। ১০-১২ দিন পর থেকে চাহিদা বেড়েছে অক্সিজেনের। বাংলায় ডিসেম্বরের ২৭-২৮ তারিখ তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে ধরে নেওয়া হলে অক্সিজেনের চাহিদার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে ৭-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে অক্সিজেনের হাহাকার দেখা গিয়েছিল। অক্সিজেনের অভাবে অনেক হাসপাতালই একটা সময় রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছিল। বহু কোভিড আক্রান্ত স্রেফ অক্সিজেনের অভাবে মারা যান। তৃতীয় ঢেউয়ে ক্ষেত্রে তাই আগেভাগেই প্রস্তুত থাকছে রাজ্যগুলি। নবান্ন সূত্রে খবর, কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোমগুলিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Covid19 Big Breaking: তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে, অ্যান্টিবডি ককটেল ওমিক্রনে কাজ করবে না, বলছেন চিকিৎসকেরা
চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার, অভিজিৎ চৌধুরী, অতিমারি বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায় এবং চিকিৎসক কুণাল সরকারদের পরামর্শ, তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার একমাত্র উপায় জমায়েত বন্ধ করা। একইসঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই দুইয়ের সঙ্গে দূরত্ববিধি মেনে চললে এই ঢেউ আটকানো সম্ভব। আজ, মঙ্গলবার থেকে আগামী ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট কতটা ক্ষতিকর এবং সংক্রামক তা বোঝা যাবে।