ওয়েবডেস্ক- গালওয়ান (Galwan Conflict) উত্তেজনা পর যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল, ফের ধীরে ধীরে বরফ গলছে। চীন (China) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অপরদিকে ভারতে আসছেন চীনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Chinese Foreign Minister Wang Yi) । সোমবার ভারতে আসবেন তিনি।
যখন ট্রাম্প (Donald Trump) শুল্কবাণে বিদ্ধ করে ভারতকে জর্জরিত করতে চাইছেন, ঠিক তখনই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। চীনের সঙ্গে ভারতের এই সখ্যতা আগামীদিনে কতটা সুদূরপ্রসারী হবে সেটি ভবিষ্যত বলবে। তবে আপাতত চীনের সঙ্গে ভারতের এই সখ্যতায় ট্রাম্পের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শত্রুতার পর এটি হবে চীনের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর, যাকে বেজিং তার “সর্বকালের বন্ধু” বলে অভিহিত করেছে।
চলতি মাসের শেষে আন্তর্জাতিক জোট ‘সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organization) (এসসিও ) (SCO) বৈঠক বসবে চীনে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে চীন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ২০১৯ সালে শেষ চীন সফরে গিয়েছিলেন মোদি। ২০২০ সালে লাদাখে ভারত-চীন সংঘর্ষের পরে এই প্রথম চীন যাচ্ছেন মোদি। চিনের তিয়ানজিন শহরে আগামী ৩১ অগাস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর এসসিও-র রাষ্ট্রনেতাদের বৈঠক রয়েছে।
ট্রাম্পের ভারতের উপর শুল্ক বোমার আবহের মধ্যেই সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার ভারত সফর চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। যা এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন- ভারত-চীন-রাশিয়ার নয়া অক্ষ, চাপে ট্রাম্পের আমেরিকা
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (Security Advisor Ajit Doval) সঙ্গে ভারত-চীন সীমান্ত প্রসঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন। পাশাপাশি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (External Affairs Minister S Jaishankar) সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে চীনা বিদেশমন্ত্রীর।
অপারেশন সিঁদুরের আবহে পাকিস্তান ভারতকে হামলা করার জন্য চীনা অস্ত্র ব্যবহার করেছিল এবং নয়াদিল্লিও অভিযোগ করেছিল যে বেজিং ইসলামাবাদকে রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছিল। এই আবহে ভারতে আসছেন চীনা বিদেশমন্ত্রী।
গত বছর চীনে সফর করেন অজিত দোভাল। সেখানে তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’ র সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং সঙ্গে রাশিয়ার কাজান শহরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে গালওয়ান সংঘর্ষের পর সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
দেখুন আরও খবর-