কলকাতা: চাকরি প্রার্থীরা ঠাকুরনগর রেলস্টেশনে অবরোধ করেছিল প্রায় দু’ঘণ্টা। এবার বিতর্কের আঁচ পৌছোল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কাছে। ঠাকুরনগর রেলস্টেশনে অবরোধ ওঠার পরই প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষভকারীরা পৌঁছলেন ঠাকুরনগরে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে।
সেখানে পৌঁছে তাঁরা সমগ্র ঘটনার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানানোর চেষ্টা করেন। যাতে লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের এই বার্তা তুলে ধরা যায়। এই কর্মসূচিতে বাঁধা দেয় পুলিস। বচসা বাধে দু’পক্ষের সঙ্গে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাইরে চাকরি প্রার্থীদের ভিড় জমে রয়েছে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের বিরোধিতায় শুক্রবার সকালে হাওড়া ব্রিজ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয় যুবকরা। শুক্রবার সকালে হাওড়া ব্রিজে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। দুর্ভোগে পড়েন অফিসযাত্রীরা। বিক্ষোভ আটকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস।
অগ্নিপথের আঁচ পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনাতেও। এদিন সকালে ঠাকুরনগর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। অবরোধে আটকে পড়ে আপ ও ডাউনের বিভিন্ন ট্রেন। এর জেরে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। কাজের দিনে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন Mamata Banerjee: ২১ জুলাইয়ের জনসভা নিয়ে অভিষেকের নেতৃত্বে বিকেলে বৈঠক
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের চার বছরের জন্য সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বছরে ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে নেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে। মেয়াদ শেষে ২৫ শতাংশ সেনাকে সরাসরি সেনা বাহিনীতে স্থায়ী পদে যোগদান করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে এককালীন আর্থিক সাহায্য করে কার্যত বিদায় দেওয়া হবে। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যুবকরা।