বেলারুশ–৩ ভারত-০
(বাইকভ, সালাভেই, গ্রোমিকো)
সাহস ভাল। দুঃসাহস ভাল নয়। ভারতের বিদেশি কোচেরা সেটা যে কবে বুঝবেন!
বাহারিনের কাছে ৮৮ মিনিটের গোলে ভারত হেরেছিল গত বুধবার। তাতেই প্রচন্ড উজ্জীবিত হয়ে ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিম্যাক শনিবার বেলারুশ ম্যাচে নতুন করে দল গড়লেন। বাহারিন ম্যাচে শুরুতে যে একাদশ ছিল, তার থেকে সাতজনকে বসিয়ে দিলেন। ম্যাচটা অবশ্য কোনও প্রতিযোগিতামূলক ছিল না। ছিল প্র্যাক্টিস ম্যাচ। কিন্তু পরীক্ষা করতে গিয়ে স্টিম্যাক ভুলে গিয়েছিলেন বেলারুশ ইউরোপের দল। ভারত তাদের সঙ্গে এর আগে কোনও দিন খেলেনি। তাই একটু পরিমিতিবোধের পরিচয় দিলে ভাল করতেন। আগের ম্যাচের প্রথম একাদশের মধ্যে গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু, সেন্ট্রাল ব্যাক সন্দেশ ঝিঙ্গন এবং দুই ফরোয়ার্ড মনবীর সিং এবং ভি পি সুহের ছাড়া বাকি সাতজনই নতুন। ম্যাচটি হল মানামায় বাহারিন ফুটবল স্টেডিয়ামে।
তার উপর তিনি খেলালেন ৩-৪-৩ ছকে। ভারতের থেকে ফিফা র্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে থেকেও বেলারুশ খেলল ৪-৪-১-১ ছকে। আর স্টিম্যাক তিন ব্যাকে খেলা শুরু করলেন। সন্দেশের পাশে আনোয়ার আলি এবং হরিম্পম রুইভা। মাঝ মাঠে আকাশ মিশ্র, অনিরুদ্ধ থাপা, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ এবং নাওরেম রোশন। সামনে মনবীর সিং, ভি পি সুহের এবং সেরিটন ফার্নান্ডেজ। বেলারুশ ভারতকে শুধু মাপল প্রথম ৪৫ মিনিটে। নিজেদের সেরা খেলাটা তারা বের করল বিরতির পর। বিরতিতে ম্যাচের ফল গোল শূণ্য। ম্যাচটা শেষ হল ভারতের তিন গোলে হার দিয়ে। তাও গোলের সংখ্যা কম হয়েছে গুরপ্রীত সান্ধু এবং সন্দেশ ঝিঙ্গনের জন্য। ওঁরা দুজন দুর্দান্ত না খেললে ভারত আরও বেশি গোলে হারত। ৪৮ মিনিটে প্রথম গোলটি করলেন আর্টসেম বাইকভ। বক্সের মধ্যে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো ভলিতে গোল করলেন বাইকভ। এই গোলটাই ভারতের সব প্রতিরোধ ভেঙে দেয়। এর পর বেলারুশ ভারতকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকে। আর নিতান্ত অনভিজ্ঞ স্টিমাকের ছেলেরা সারাক্ষণ অনর্থক ছোটাছুটি করেই কাটিয়ে দেয়। গোলের দেখা তো দূরের কথা, তারা গোলের মুখও খুলতে পারেনি।
৬৮ মিনিটে বেলারুশের দ্বিতীয় গোলটি করলেন আন্দ্রেই সালাভেই। ম্যাচ যখন মনে হচ্ছিল ২-০ তেই শেষ হবে তখন ৯১ মিনিটৈ আবার গোল করে ৩-০ করে ফেললেন ভ্লাডিমির গ্রোমিকো। এভাবেই শেষ হল গুরপ্রীতের পঞ্চাশতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর এই নিয়ে গত ছটা ম্যাচে স্টিমাকের ভারত পাঁচটাতেই হারল। শেষ জয় গত বছরের জুনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাফ ফাইনালে।