কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Aliah University)-কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের (Giyasuddin Alia University) ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের (Police custody) নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার সকালে বারাসত আদালতে তোলা হয় গিয়াসউদ্দিনকে। পুলিস তাঁকে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বারাসত আদালত।
গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের আইনজীবী সোমবার এজলাসে প্রশ্ন তোলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ১ মার্চ। কেন দুদিন পর ৩ তারিখ মামলা রুজু করা হল।ঘটনা ভাইস-চ্যান্সেলর সাথে ঘটা সত্ত্বেও কেন গভর্নিং বডির কেউ এই ঘটনায় সেদিন কেই মামলা রুজু করল না,অন্য ছাত্র কে কেন এই মামলা রুজু করতে হল? পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ভিডিও সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী বক্তব্যে জানান গিয়াস উদ্দিন মোল্লা প্রভাবশালী ব্যক্তি তার প্রভাব দেখিয়ে কারোর কথা না শুনে ভাইস-চ্যান্সেলরের ঘরে ঢুকে গিয়েছে দলবল নিয়ে। গান পয়েন্টে রেখে ভাইস-চ্যান্সেলরকে হুমকি দেয় । এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় একই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরো তিনটে ঘটনা রয়েছে বলেও দাবি করেন সরকারি আইনজীবী, সেগুলি চার্জশিট পর্যায় রয়েছে।সরকারি আইনজীবী সাবাল জবাবে জানান, এই ঘটনায় বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয় এরা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসের জায়গা করে তুলেছে।
আরও পড়ুন Mamata Banerjee : চরম আর্থিক সংকটে দেশ, সর্বদলের দাবি তুললেন মমতা
পরে গিয়াসউদ্দিনের আইনজীবী জানান, আলিয়া ইউনিভার্সিটির প্রবেশ পথ থেকে শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকে। সেক্ষেত্রে একজন যুবক সে কি করে তার দলবল নিয়ে এখানে ঢুকে গেল এত নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে। সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। দু-পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মামলাটি রিজার্ভ রেখেছে।