ইতিহাসটা প্রায় ১৬৫ বছরের পুরনো। ১৮৫৫ সালে সিধু-কানহুর নেতৃত্বে শুরু হয় আদিবাসীদের বিদ্রোহ। যা ছিল ইংরেজদের এদেশ থেকে বিতারিত করার জন্য প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন। যা ইতিহাসের পাতায় সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে উল্লিখিত হবে আছে। বিদ্রোহী কানহুকে ফাঁসি দেওয়া হয় আর সিধুকে গুলি করে হত্যা করে ইংরেজ সিপাহিরা। তাঁদের স্মরণেই প্রতিবছর ৩০ শে জুন এই দিনটিকে হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস হিসেবে পালন করা হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তাই এবারও হুল দিবস থেকে বাদ পরেনি জেলা ঝাড়গ্রাম। বুধ এবং বৃহস্পতিবার রাজ্যস্তরের হুল দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা।
আরও পড়ুন ভ্যাকসিন কাণ্ডের পিছনে বিজেপি’র হাত? সন্দেহ মুখ্যমন্ত্রীর
বুধবারের হুল অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী বিরবাহা বলেন, ‘এটা উৎসব নয় আজকের দিনে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিধু কানহুর ডাকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল সেটাই ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন। আফশোস লাগে আমরা সেটা ভালো করে মনে রাখতে পারি না।’এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন জেলাশাসক জয়শ্রী দাশগুপ্ত, অপর দুই বিধায়ক ডঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাত ও দুলাল মুর্মু।
আরও পড়ুন দিল্লি ৪৩ ডিগ্রি, বইছে লু
এদিন ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির ভেলাইডিহা অঞ্চলের কপাটকাটাতেও এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। সিধু কানহুর মূর্তি উদ্বোধন করেন বিনপুর বিধানসভার বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা ও রায়পুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু ।
আরও পড়ুন খাদ্য বিভাগে কাগজের স্তূপ ঘিরে বিতর্ক