বসিরহাট : সাত দিন নিখোঁজ থাকার পর যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য, বসিরহাট মহকুমা হাসনাবাদ থানার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামে। গত
১৯ জুলাই থেকে বছর ৩২এর অলকরঞ্জন দাসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই দিন অলকের মা কৃষ্ণা দাস অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য
মেয়ের বাড়ি যান। তখন অলক বাড়িতেই ছিল। গত সাতদিন ধরে মেয়ের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। এদিকে এরপর থেকে অলকরঞ্জনকে খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃদ্ধা মা ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন গত সাতদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশ থেকে
দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে আসে হাসনাবাদ থানার পুলিশ যুবকের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়
ঘর থেকেই। মত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য আত্মহত্যা না খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত
যুবকের মা কৃষ্ণা দাস বলেন, ‘আমার ছেলে আর আমি এক ঘরে থাকতাম। আমি পাশে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম ডাক্তার দেখাতে। এই
কদিন বাড়িতে ছিলাম না, তারইমধ্যে এরকম ঘটনা ঘটেছে।’ অভিযোগ তিন/চার দিন আগে এলাকার কয়েকজন যুবক তাঁকে মারধর করে
মাথা ফাটিয়ে দেয়। বিষ খাইয়ে মেরে তাঁকে ঘরের মধ্যে ফেলে রাখার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’
রহস্যমৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।