কলকাতা: যাবতীয় জটিলতা সরিয়ে শুক্রবার উচ্চ-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তুলে নেওয়া হল স্থগিতাদেশ। ২ জুলাই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৭ দিনের মধ্যে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল শুক্রবার হাইকোর্টে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে ফের শুনানি হবে৷ সেই শুনানিতেই এদিন তুলে নেওয়া হল স্থগিতাদেশ।
দীর্ঘদিন পর উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। মোট ১৪ হাজার ৩৩৯ জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডেকেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে, সেই তালিকায় স্বচ্ছতা না থাকার কারনেই দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে জারি হয়েছিল এই স্থগিতাদেশ।
আদালত এই বিষয়ে এদিনের নির্দেশিকার উল্লেখ করেছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে এই তালিকা সম্পর্কে যাদের অভিযোগ আছে তাঁরা কমিশনের কাছে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে আবেদন জানাতে পারবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে এই আবেদন জানাতে হবে। সেই অভিযোগ অনুযায়ী কমিশনের ন্যূনতম সেক্রেটারি মর্যাদা সম্পন্ন আধিকারিক তাঁদের বক্তব্য শুনবেন। সরাসরি তাঁদের মুখ থেকে সেই বক্তব্য শুনতে হবে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
২০১৬ সাল থেকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আদালত রাজ্য সরকার ও কমিশনের কাছে রিকোয়েস্ট করছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাদের পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে বয়সের কারণে তাঁরা নিয়োগ হতে পারবেন না। নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের বিষয়টি যেন বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং তাঁদের বয়সের ছাড় দেওয়া হয়। এই ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত দিতে হবে।
এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতির নির্দেশ, ‘রাজ্যে অনেক আবেদনকারী রয়েছেন যারা এই চাকরীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। এই হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী যাদের পাঁচ বছর ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। বয়সের কারণে তারা যদি চাকরি না পান তাহলে পরবর্তীকালে তাঁদের আর সুযোগ থাকবে না। আমি আশা করব রাজ্য সরকার ও কমিশন এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখবে।’
