কলকাতা: বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat political violence) হিংসার ঘটনায় (Rampurhat Clash) কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মঙ্গলবার আরও একটি মামলা (Birbhum Rampurhat Fire Deaths) দায়ের হল হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই বা এনআইকে দিয়ে রামপুরহাট কাণ্ডের তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন।
মামলার আবেদনে তিনি বলেন, ‘এত মৃত্যুর রহস্যভেদে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাই।’ রামপুরহাটে নিহতদের পরিবার যাতে ক্ষতিপূরণ পান, জনস্বার্থ মামলায় সেই আবেদনও করা হয়েছে। বুধবার জরুরি শুনানি চেয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ চেয়ে আরও একটি আবেদন জমা পড়েছে আদালতে।
রামপুরকাণ্ড নিয়ে দিনভর উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। বীরভূমের বগটুই গ্রামের ঘটনাকে গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যে রাজ্যপালেরও দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দল। রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জিও তাঁরা জানাবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার বিশদ রিপোর্ট তলব করেছে।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: ভাদুর দাদা খুনেও পুলিস কিছু করেনি, ক্ষোভ উগরে দিলেন সদ্য পুত্রহারা মা
রাজ্য সরকার যদিও গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্র আঁচ করছে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে খুন করে, দলের কর্মীদের বাড়িতে আগুন দিয়ে, উলটে বাংলার বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। যে বা যারাই জড়িত থাক, পুলিসকে বলা হয়েছে ব্যবস্থা নিতে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে।
রামপুরহাটের ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন সদস্যের সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন এডিজি-সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং। এ দিনই রামপুরহাটে যাচ্ছেন ডিজি মনোজ মালব্য।