নয়াদিল্লি: হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) মোকাবিলায় কর্ণাটক সরকার (Karnataka Hijab Row) আগামী তিন দিন রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে৷ কয়েকটি জায়গা থেকে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগ রয়েছে৷ প্রশাসনের দাবি, ধৃতরা কেউই পড়ুয়া নন৷ তাঁরা বহিরাগত৷ এ দিকে রাজ্যের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, হিজাব নিয়ে আদালতে মামলা চলছে৷ আদালত যেরকম নির্দেশ দেবে, তেমনটাই করবে সরকার৷ বিজেপি আবার গোটা ঘটনার পিছনে কংগ্রেসকে দায়ী করেছে৷ সিপিএম সাংসদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি করেছেন৷ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী পোশাক পরিধানে ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলেছেন৷ সব মিলিয়ে হিজাব বিতর্ক ক্রমশ জটিল পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে বলা চলে৷
Govt is expecting court orders by the end of the day. We can't advise the court. We have to accept it when the court orders: Karnataka Home Minister Araga Jnanendra
— ANI (@ANI) February 9, 2022
বুধবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, ‘‘হিজাব নিয়ে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে সরকার৷ দিনের শেষে আদালতের উপর নির্ভরশীল সরকার৷ আদালতকে নির্দেশ দিতে পারে না৷ তাই, আদালত যা নির্দেশ দেবে, সেটাই গ্রহণ করা হবে৷’’
রাজ্যের মন্ত্রী আর অশোক বলেন, ‘‘সরকার হিজাব বা কেশরী কোনটারই পক্ষে নয়৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে পড়ুয়ারা যা খুশি পরতে পারে৷ কিন্তু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পোশাক কোড রয়েছে৷ আপাতত নিরাপত্তার জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে৷’’ গোটা ঘটনার পিছনে কংগ্রেসের হাত রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন৷ পাশাপাশি বিজেপির প্রশ্ন, ২০২২ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কি হিন্দু মহিলাদের হিজাব পরতে বলবে?’’
আরও পড়ুন-Hijab Row: হিজাব বিতর্কে মুসলিম মহিলাদের উপর সন্ত্রাসের অভিযোগ পাকিস্তানের
এ দিকে সিপিএম সাংসদ হিজাব নিয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন৷ সিপিএম সাংসদ এলামারাম করিম চিঠিতে বলেছেন, “শিক্ষার্থীরা এত বছর ধরে ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব পরে আসছে। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাথার স্কার্ফের রঙও নির্ধারিত রয়েছে। বিভাজন ঘটাতে ইচ্ছাকৃতভাবে এটি তৈরি করা হচ্ছে। যা সাম্প্রদায়িক অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে।”