বসিরহাট : ফের বিজেপিতে ভাঙন। ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর টাকিতে বিজেপির প্রায় ৩ হাজার কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। শুধু বিজেপি নয়, রাজ্যের সিপিএম ও কংগ্রেস থেকেও কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে এসে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন : উপনির্বাচনের আগে আবার ভাঙন, বসিরহাট ও রানীনগরে শক্তি বাড়ল তৃণমূলের
বসিরহাট মহকুমা টাকি পৌরসভার সাংস্কৃতিক মঞ্চে তৃণমূল কর্মী সভায় যোগদান করলেন বিজেপি এবং সিপিএম থেকে আসা সমর্থকরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বসিরহাট তৃণমূল জেলা সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান হাজী শেখ নুরুল ইসলাম এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মণ্ডল। এছাড়াও এই যোগদান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তসী বন্দ্যোপাধ্যায়। টাকি পৌরসভার পৌর প্রশাসক আজিজুল গাজী ও বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্রমিক রায় সহ আরও অনেকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মণ্ডল বলেন, “যেভাবে উপনির্বাচনে তৃণমূল ফলাফল করেছে তাতে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। এই সব দলের কর্মী সমর্থকরা তাদের নেতৃত্বের অভাব বুঝছে এবং আমাদের দলের উন্নয়নে সামিল হতেই তাঁরা যোগদান করছেন।” তিনি আরও জানান, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়নের সুবিধা যেমন ভোগ করছেন তেমনি তার উন্নয়নে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তৃণমূলে সামিল হচ্ছেন। এইভাবে কর্মী-সমর্থকদের যোগদানের ফলে টাকি পৌরসভা কৌশল শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে মত জেলা নেতৃত্বের। ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন সাধারণ মানুষ।” দলত্যাগী বিজেপি নেতা প্রশান্ত দত্ত জানান, “বিজেপির সংগঠনের যোগ্য নেতা নেই। কে কখন নেতা হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। দিন দিন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছি আমরা। তাই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।”