আমতা: আনিস হত্যাকাণ্ড নিয়ে বৃহস্পতিবারও উত্তাল হয়ে উঠল আমতা। সিবিআই তদন্তের দাবি করে কংগ্রেস, বাম ও ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা আন্দোলনে নামেন। তাঁরা একটি মিছিলও করেন। তাতে যোগ দিয়েছিলেন আনিসের বাবা, দাদা এবং প্রতিবেশীরাও। তবে আমতা থানার বাইরে বাম-কংগ্রেসের অভিযানকে ঘিরে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আনিস খুনের প্রতিবাদে আমতা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র পরিষদ। মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিস। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে ছাত্ররা। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র।
আনিস খান হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গঠন করা হয়েছে সিট। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই পুলিসকর্মীকে। পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এদিন আনিসকে শ্রদ্ধা জানাতে আমতায় একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের ইমাম, ফুরফুরা শরিফের কাশেম সিদ্দিকি, বাম ছাত্র সংগঠনের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই স্মরণসভায় আনিস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে।
তাঁদের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এরপর এই মিছিল গ্রাম থেকে যায় আমতা থানার দিকে। কাশেম সিদ্দিকি ও অন্য পীরজাদাদের নেতৃত্বে এই মিছিলের সঙ্গে থানার দিকে যান আনিসের বাবা ও দাদা, গ্রামের মানুষজন। আনিসের বাবা এদিনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় ছিলেন।
আরও পড়ুন- Anish Khan Case: আনিস মৃত্যুর তদন্তে পুলিস এবং সিটের উপর ভরসা রাখার আবেদন রাজ্য পুলিসের

অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস থানার কাছে পৌঁছতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। শুরু হয় জনতা-পুলিস ধস্তাধস্তি। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ার অভিযোগও ওঠে। এরপর কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিস। এদিন আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, আনিসের মৃত্যুর বিচার না-হলে আগামী রবিবার আমতা থানা নয়, জেলা পুলিস সুপারের অফিস ঘেরাও হবে।