বহরমপুর: এক কলেজ ছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বহরমপুর আদালত। বহরমপুরের গোরাবাজারে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীরকে দোষী সাবস্থা করলেন বিচারক। মঙ্গলবার বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সন্তোষ পাঠক অভিযুক্তকে দোষী সাবস্থ করা হয়।
জিয়াগঞ্জের একই পরিবারের তিন জন খুনের ঘটনার মামলায় অভিযুক্তের ফাঁসির সাজার পর একই আদালতে কলেজ ছাত্রী খুনের মামলার রায় নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল বহরমপুরবাসীর।
গত ২০২২ সালে ২ মে সন্ধ্যায় বহরমপুরের কাত্যায়ানি মোড়ের একটি মেস বাড়ির সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে। ওই রাতেই মালদহের বাড়ি পালিয়ে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে গ্রেফতার করে বহরমপুর থানার পুলিশ।
হাড় হিম করা ওই ঘটনায় সাড়া পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে । খুনের ৮৭ দিনের মাথায় বহরমপুর আদালতে প্রায় ৪০০ পাতার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। এরপর ওই মামলায় সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। চার্জ গঠন করা হলেও অভিযুক্ত সুশান্ত বারবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে। ওই মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে পেশ করা হয়। সেই মামলায় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে দোষী সাবস্থ ঘোষণা করলেন বিচারক বলে জানিয়েছেন আসামীপক্ষের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ।
আগামিকাল বুধবার রয়েছে এই ঘটনার সাজা ঘোষণা। প্রসঙ্গত, কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর বাড়ি ছিল মালদায়। ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় সুশান্ত তাকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় দোষী সাবস্থ করা হল। এদিকে দিন কয়েক আগেই জিয়াগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল সহ তার স্ত্রী ও পুত্রকে খুন করার ঘটনায় অভিযুক্ত উৎপল বেহারার ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে বহরমপুরের আদালত। আর সেই আদালতেই ছাত্রী খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হল সুশান্ত চৌধুরীকে। এদিন সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন আদালতে। মেয়ের দুঃখে আদালতের বাইরে কেঁদে ফেলেন তিনি।