বাঁকুড়া: বিজেপির নেতার মন্তব্যে বিতর্ক ছড়াল বাঁকুড়ায়। ছাতনার আইসি-কে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করার হুমকি দিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তী। সমালোচনার মুখে জীবন চক্রবর্তীকে দলের কেউ নয় বলে দাবি বিজেপির। দুর্নীতির অভিযোগে চলা অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে জীবন চক্রবর্তী, শ্যামসুন্দর মণ্ডল ও দেবীদাস চক্রবর্তী নামে তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
স্থানীয় একটি পুকুর খননে দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার ছাতনা থানার দুবরাজপুর মোড়ে অবরোধ করে বিজেপি। সেই অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলে বিজেপি কর্মীদের। এই সময়ই বিজেপির নেতা জীবন চক্রবর্তী ছাতনা থানার আইসি আশিস জৈনকে প্রকাশ্যে পোষাক খুলে ন্যাংটো করার হুমকি দেন। এই ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূল। অস্বস্তিতে পড়ে জীবন চক্রবর্তী দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাতনা এলাকার বাঁকাপাড় পুকুর খনন কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে জীবন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পথ অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া রাস্তায় যান চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর ছাতনা থানার আইসি আশিস জৈনের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী আসে। পথ অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তী মাইক হাতে আইসি-কে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন-Rampurhat CBI: মালিক ফেরার, লালন শেখের বন্ধ বাড়ি থেকে ১০ দিন পর উদ্ধার পোষ্য
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অশোক বিদ বলেন, ছাতনার ওই কর্মসূচী বিজেপির দলীয় কর্মসূচী ছিল না। এই ধরনের বক্তব্যও দল সমর্থন করে না। তারপরও কে বা কারা দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে উপস্থিত ছিল, তা উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হবে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাধব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে পুকুর খনন নিয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। অশিক্ষিতের দল বিজেপি। তৃণমূল নেতার আরও দাবি, ছাতনা থানার আইসি ভালো মানুষ। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি এলাকার গরিব মানুষদের নানান ভাবে সাহায্য করেন।