বর্ধমান: নাগরিক পরিষেবায় এবার নতুন মোবাইল অ্যাপ আনল বর্ধমান পুরসভা। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে একাধিক তথ্য জানতে পারবেন শহরবাসী। এছাড়া পুর সমস্যা জনিত একাধিক অভিযোগ জানাতে পারবেন তাঁরা শুধু মাত্র মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই। অভিযোগ নথিভুক্ত হলেই তা দ্রুত সমাধানে উদ্যেগী হবে পুরসভা।
শুক্রবার এই অভিনব অ্যাপের উদ্বোধন করলেন পুর প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও সহ প্রশাসক আইনুল হক। পুর পরিষেবায় স্বচ্ছতা ও গতি আনতেই এই উদ্যেগ বলে দাবি বর্ধমানের পুর কর্তাদের।
দীর্ঘ তিন বছর কেটে গেলেও বোর্ড গঠন না হওয়ায় শহরের পুর কর্মকাণ্ড নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুসভার বোর্ড না থাকার ফলে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ডেথ ও বার্থ সার্টিফিকেট থেকে মিউটেশনের কাগজপত্র, সমস্ত ক্ষেত্রেই পরিষেবা পেতে পুরসভায় গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনই অভিযোগ উঠছিল। এবার সেই সমস্যা সমাধানেই নতুন রাস্তার খোঁজ দিলেন নয়া প্রশাসক মণ্ডলী।
অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে পুরসভার যে কোন বিভাগে আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন নাগরিকেরা। এই অ্যাপে থাকছে একটি হেল্পলাইন নাম্বার। সেখানে ফোন করলেই কিভাবে কোন কাজ কিভাবে করতে হবে তা পরিষ্কার জানিয়ে দেবে হেল্পডেস্ক।
আরও পড়ুন : বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘাটালে, জল বাড়ছে দাসপুরে, সংকট পানীয় জলের
জানা গিয়েছে, প্রথমে হেল্প ডেস্ক ফোন না ধরলে ফোনটি সিনিয়র আধিকারিকদের কাছে যাবে। সেক্ষেত্রেও যদি কোনো নাগরিকের ফোন কল রিসিভ না করা হয় তাহলে তৃতীয়বার ফোনটি সরাসরি চলে যাবেন প্রশাসক মন্ডলীর কাছে। সেখানে ফোনটি অবশ্যই ধরা হবে। তারপর সেই ব্যক্তি অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুরসভার কাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করে দিয়ে হয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে জলের পাইপ লাইন সংক্রান্ত কাজ পাঁচ দিনের মধ্যে সমাধান করা হবে। জমি জায়গার প্লান সংক্রান্ত কাজ ১৫ দিনের মধ্যে এবং বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য সর্বোচ্চ তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। শুধু তাই নয় স্যানিটারি ট্যাংক পরিস্কারের ক্ষেত্রে ১০ দিন এবং রাস্তার লাইট মেরামতসহ আরো অন্যান্য ৪১ টি পরিষেবা জন্য ওই একই অভিযোগ জানানো যাবে।
আরও পড়ুন : জোয়ারের জলে ভেসে এল মুণ্ডুহীন দেহ, তদন্তে লালবাজার
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত পুরো পরিষেবা প্রদান এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুরো প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যে পুরভোটকে কেন্দ্র করেই পুর পরিষেবাকে সাজিয়ে তুলতে তৎপর রাজ্যের শাসক দল। সেই কারণেই পুর পরিষেবাকে আধুনিকীকরণ করতে ও জনসংযোগ বাড়াতে ডিজিটালাইজেশনের পথে হাঁটছে বলেই মনে ওয়াকিবহাল মহল।