বসিরহাট: হাড়োয়া তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় আটক চালক। কর্তব্যারত দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মুখোমুখি জেরা। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করল পুলিশ।
শনিবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হয়েছেন হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা সেখ সাহেব আলি। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের এবারের জয়ী প্রার্থী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের হাড়োয়া ১ নম্বর ব্লকের ক্ষেত মজুর সংগঠনের সভাপতি সেখ সাহেব আলি খুন হন। তিনি এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীও হয়েছিলেন। দলের টিকিটে জয়ী হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে এলাকায় পুলিশের সামনে দেহ আটকে রেখে রাস্তার উপরেই বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্যেরা। বিক্ষোভ চলে রাত আড়াইটে পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, শুরু তদন্ত
ঘটনার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ শেখ সাহেব আলির বাইক চালককে আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে সামলা বাজার এলাকায় দুই কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারকে আটক করেছে পুলিশ। এদিন হাড়োয়া থানায় মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করছে পুলিশ আধিকারিকরা। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকদের তরফে।
মৃতের কন্যা সিমরন পরভিন বলেন, রাজনৈতিক কারণে আমার বাবাকে খুন করা হল। বাবাকে দলীয় পদ থেকে সরানোর জন্য এই কাজ করা হয়েছে।
সাহেব আলির মৃত্যুতে তাঁর পরিবারে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। শেখ সাহেব আলির পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে দুষ্কৃতীরা সাহেব আলিকে খুন করেছে। পরিবারের আরও দাবি, কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কী ভাবে মেয়েদের মানুষ করব, জানি না। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছেন সরকারি চাকরির জন্য।
এদিকে তৃণমূল নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়েরা দুষ্কৃতীদের একটি বাইক জ্বালিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ভাঙচুর চালানো হয় একটি অটোতেও।