কলকাতা: নিজের জমিতে বাড়ি করতে বাধা। পুলিসের বিরুদ্ধে বাধাদানের অভিযোগ। নেপথ্যে কি প্রোমোটার-চক্র? ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে পুলিস এলাকায় গেলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বাড়ি তৈরি নিয়ে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ হয়েছে বললেও পুলিস অভিযোগকারীর নাম জানাতে পারেনি। তাই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় বেহালা পর্ণশ্রী থানার পর্ণশ্রী এয়ারপোর্ট এলাকায়।
পুলিসের বিরুদ্ধে অহেতুক ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ তুলে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গেলে তিনিও জমি-বাড়ির কাগজপত্র দেখে বাড়ি তৈরিতে সম্মতি জানান বলে দাবি জমির মালকিন মামনি সিংয়ের।
আরও পড়ুন: Corona India: দেশে ফের বাড়ল সংক্রমণ, দিল্লিতে একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় হাজার
মামনি সিংয়ের অভিযোগ, নিজের জমিতে প্ল্যান করে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নতুন বাড়ি করার প্রস্তুতি নিই। তারপর থেকেই স্থানীয় পর্ণশ্রী থানা থেকে বারবার তাঁদের ফোন করে বলে, আপনারা এই বাড়িতে কাজ করতে পারবেন না। পুলিস বলে আপনারা বেআইনিভাবে নির্মাণ করছেন এবং আপনাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। তারপরে মামনি থানায় খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেন, কে অভিযোগ করেছে। কিন্তু, মামনি দেবীর অভিযোগ, পুলিস কোনওভাবে অভিযোগকারীর নাম বলছে না।
![](https://kolkatatv.org/wp-content/uploads/2022/04/behala2.jpg)
পরবর্তীকালে স্থানীয় ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হন তিনি। মামনির দাবি, কাগজপত্র দেখে রত্না বলেন, আপনার প্ল্যান ঠিক আছে। আপনি বাড়ি তৈরি করতে পারবেন। মহিলার অভিযোগ, তার পরেও পর্ণশ্রী থানার একজন পুলিস আধিকারিক রাত ১০টার পর তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। গালাগালি করেন। মহিলার স্বামীকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে পুলিস।
তারপর স্থানীয় মানুষজন ঘিরে ধরে পর্ণশ্রী থানার পুলিসকে বিক্ষোভ দেখায়। মহিলার বক্তব্য, যদি আমি বেআইনি নির্মাণ করি, তাহলে লোন পেলাম কী করে। পাশাপাশি আমি স্থানীয় কাউন্সিলরকে আমার প্ল্যান দেখিয়েছি। তিনি কাজ করতে বলেছেন। তা সত্ত্বেও পর্ণশ্রী থানা কাজ করতে দিচ্ছে না। এই নিয়ে উত্তেজনা।
আরও পড়ুন:WB Weather Forecast: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখী
পুলিস জানিয়েছে, আমাদের কাছে অভিযোগ আসে বাড়িটি অবৈধভাবে নির্মাণ হচ্ছে। তার জন্য দুদিন ধরে আমরা বাড়ির মালিককে থানায় আসতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা আসছেন না। তাই আমরা আজ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছি। স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায় ফোনে জানান, এই মহিলার সমস্ত কাগজপত্র আমি দেখেছি। ঠিক আছে, তাই বাড়ি করতে বলেছি।