কলকাতা: রামপুরহাট হিংসা তদন্তে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করল বিজেপি৷ পাঁচ সদস্যের সেই কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করবে৷ পরবর্তীকালে তাঁরা রিপোর্টও জমা করবে৷
বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহের বক্তব্য অনুযায়ী, পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটিতে সুকান্ত মজুমদার, ভারতী ঘোষ, ব্রজলাল, সত্যপাল সিং, কেসি রামমূর্তিকে রাখা হয়েছে৷ কমিটির সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত স্থান থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করবে৷ পরবর্তীতে একটি প্রতিবেদনও তাঁরা জমা দেবেন৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানানো হবে।
এদিকে বগটুই গ্রামের হিংসার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্র। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রামপুরহাটের হিংসাকে ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে যান সুকান্ত মজুমদার। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতির। এই বৈঠকের পরেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন শাহ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেতে রাজ্যে যাতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়, সেই মর্মেও আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সরকারি ভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
রামপুরহাটে আগুনে পুড়ে আট জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপি যদিও দাবি করে, মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। ১২ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনাকে গণহত্যা বলেও বিরোধী দলের নেতারা দাবি করেন। যদিও সরকারি ভাবে আট জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বীরভূমের পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এর মধ্যে সোনা ওরফে সঞ্জু শেখের পরিবারেরই সাত জন।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: ভাদুর দাদা খুনেও পুলিস কিছু করেনি, ক্ষোভ উগরে দিলেন সদ্য পুত্রহারা মা
এই ঘটনায় জল ইতিমধ্যে আদালতে গড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির লিগাল সেলের আইনজীবীরা গিয়েছেন। হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ তাঁরা দাবি করেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপি আইনজীবীদের আর্জির প্রেক্ষিতে মামলা করার সম্মতি দেয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে রামপুরহাট হিংসার তদন্ত কারানোর দাবিতেও পৃথক একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে