ঝালদা: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যার অন্যতম সাক্ষী মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতে সিবিআই। দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে গিয়ে তদন্তভার হাতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পর নিরঞ্জনের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের ৫ আধিকারিক। নিরঞ্জনের বৌদি পবিতা বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
যে ঘর থেকে নিরঞ্জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরেও যান সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। যে বাঁশে দেহটি ঝুলে ছিল, সেই বাঁশ থেকে মেঝের দূরত্ব ফিতে নিয়ে মাপজোক করেন তাঁরা। পবিতা বৈষ্ণব বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত শুরু করায় আমরা খুশি। কী কারণে উনি আত্মহত্যা করলেন, তা সামনে আসা দরকার। শুধু পুলিসেরই চাপ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আসে সেটা জানতে চাই আমরা।’
গত ৬ তারিখ ঝালদা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়িতেই সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় নিরঞ্জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝালদা থানার পুলিস। তারপর থেকে পারিবারের লোকজন পুলিশের বিরূদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছিলেন। অভিযোগ, বার বার ঝালদা থানার পুলিস তাকে থানায় ডেকে মানসিক চাপ দিতে থাকে। চাপ সহ্য করতে না পারায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে সুইসাইড নোটে লিখে যান নিরঞ্জন।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে শতাব্দী রায়
নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এই নিরঞ্জন বৈষ্ণব। তার পরই পুলিস তাঁকে ডেকে পাঠায়। পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফোন না পাওয়া যাওয়ায় আরও রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।