পূর্ব বর্ধমান: সোমবার মঙ্গলকোটের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসের খুনের ঘটনায় সিআইডির দল রুটিন তদন্ত চালালো। সিআইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল ওই এলাকায় আসে তদন্ত করতে। তবে, সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির খুনের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের হাতে।
সোমবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ, কাশেম নগর থেকে নিজের গ্রাম শিউরে ফিরছিল ,লাখুরিয়া তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস। তাঁকে কে বা কারা দাদা বলে ডাকলে সে গাড়ি দাঁড় করায়। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে একটি মাত্র গুলি করা হয় বুকের বাঁ দিকে। তড়িঘড়ি আনা হয় মঙ্গলকোট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মঙ্গলবার সকালে অসীম দাসের মৃতদেহ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ময়না তদন্তের জন্য। সঙ্গে আসেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক ও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় অসীম বাবুর বাড়ি শিউর গ্রামে।
এর মধ্যেই তদন্ত করতে এসেছে সি,আই,ডির পাঁচ সদস্যের দল। এলাকা ঘুরে তাঁরা বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করছেন এবং এলাকার লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। মৃতের ছেলে সুনন্দ দাস মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগে নির্দিষ্ট কারও নাম নেই। তবে, রবিবারেই এলাকার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে অসীম দাসকে।
অন্যদিকে, শাসকদলের এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের বিষয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকেই দায়ী করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার বর্ধমান সদর জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে দলীয় বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, ‘বিজেপি খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। উল্টে গত পাঁচ বছরে আমাদের ১৭৫ জন কর্মী খুন হয়েছে।’