বারাসত: আলিয়া কাণ্ডে ধৃত গিয়াসউদ্দিনের জেল হেফাতের নির্দেশ দিল আদালত। ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার বারাসত আদালতে তোলা হয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিগ্রহে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে৷ আদালত ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিন গিয়াসউদ্দিন জানান, ঘটনার দিন তিনি একাই ছিলেন৷ কারও বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই৷
আলিয়ার উপাচার্যকে হেনস্থার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে ৩ এপ্রিল গ্রেফতার করে পুলিস। উপাচার্যকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, কটুক্তি, খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তোলাবাজি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সহ একাধিক অভিযোগে কিছুদিন আগে বহিষ্কার করা হয় গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল নামে ওই ছাত্রনেতাকে।
বহিষ্কারের কয়েকদিনের মধ্যেই তিনজন বহিরাগতকে নিয়ে ঢোকেন তিনি। কলেজের পিএইচডি লিস্টে স্বজনপোষণ করেছে উপাচার্য, এমন অভিযোগ তুলেই বচসার শুরু হয়। তারপর শুরু হয় অকথ্য ভাষায় গালাগালি, মারার হুমকি। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে একেবারে তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। সেখানে উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে দেখা যায় গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে।
৪ এপ্রিলের শুনানিতে গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের আইনজীবী এজলাসে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ১ মার্চ। কেন দুদিন পর ৩ তারিখ মামলা রুজু করা হল? কেন গভর্নিং বডির কেউ এই ঘটনায় সেদিন মামলা রুজু করল না? অন্য ছাত্রকে কেন এই মামলা রুজু করতে হল? পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও তিনটে অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন সরকারি আইনজীবী৷