হাঁসখালি: হাঁসখালি নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে শনিবার নির্যাতিতার বাবা-মা কে কৃষ্ণনগর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে গেল সিবিআই। এদিন সকাল ১১.৪৫ নাগাদ সিবিআইয়ের আধিকারিকরা গ্রামে এসে তাঁদের নিয়ে যান জিজ্ঞেসাবাদের জন্য।
শুক্রবার দিনভর সিবিআই আধিকারিকরা হাঁসখালিতে তদন্ত চালায়। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রথমে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর পৌঁছয় শ্মশানে। সেখান থেকে তারা তদন্তের জন্য পোড়া কাঠ সংগ্রহ করে। এরপরেই তারা পৌঁছয় অপর অভিযুক্ত প্রভাকর পোদ্দারের বাড়িতে। সেখানেও তল্লাশি চালায়। প্রভাকরের বাড়ি থেকে তার ব্যবহৃত জামা-কাপড় এবং অন্তর্বাস নিজেদের হেফাজতে নেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে উঠে আসা একাধিক তথ্যের ভিত্তিতে সিবিআই ঘুরে দেখে গোটা গ্রাম।
এরমধ্যেই উঠে আসে তৃতীয় অভিযুক্তের নাম। যদিও অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিক পলাতক । তার বাড়ি ইতিমধ্যেই সিল করেছে সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল। খোঁজ চলছে তৃতীয় অভিযুক্তের। এরমধ্যেই তদন্তের অগ্রগতির জন্য পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- Bishnupur: সম্পত্তি বিবাদের জেরে ভাইয়ের হাতে খুন দাদা, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু বৌদির
গত ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালির শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালীর ছেলে সোহেল গয়ালীর বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ৫ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মাকে চাপ দিয়ে শ্মশানে দাহ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায় সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয়।