কলকাতা: হাওড়ার এক শিল্পপতিকে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ করল তমলুকের বাবা-ছেলে৷ শুধু তাই নয়, অপহরণের পর ওই শিল্পপতিকে তমলুকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর অপহরণকারীরা মোবাইলে ওই শিল্পপতির বাড়িতে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর পরেই শিল্পপতির বাড়ির লোকজন হাওড়া ডোমজুড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। সাহায্য নেওয়া হয় হাওড়া সিটি পুলিশ ও গোয়েন্দাদের। এরপর গোয়েন্দারা মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন করতে শুরু করেন। তখনই জানা যায়, ওই শিল্পপতির অবস্থান। তখন তমলুকে হানা দিয়ে শিল্পপতি কে উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন-সোনার ছেলে নীরজের জন্য ৬ কোটি আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা
শিল্পপতি দেবনাথ দাসের বাড়ি লিলুয়ার আনন্দনগরে। দেবনাথ বাবুর কারখানা রয়েছে ডোমজুড়ের সলপে। শনিবার সকালে তিনি অন্যান্য দিনের মতোই নিজের কারখানায় আসেন। তখন দেবনাথ বাবুকে ফোন করে জালাল কমপ্লেক্সের সামনে আসতে বলে তমলুকের বাসিন্দা শফিকুর রহমান ও তার ছেলে৷ তাদের কথামতো দেবনাথ বাবু জালাল কমপ্লেক্সর সামনে আসেন। তখনই বাবা ও ছেলে কয়েকজন বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে জোর করে দেবনাথ বাবুকে একটি গাড়িতে তুলে সোজা চলে যান তমলুকের বাড়িতে। সেখানে তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ চায় তারা। পুলিশ সেখান থেকে দেবনাথ বাবুকে উদ্ধার করার পর অপহরণকারীদের গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন-সোনার ছেলেকে নিয়ে মাতলেন মোদি থেকে মমতা
তদন্তে নেমে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে একটা সময় দেবনাথ বাবুর কারখানায় চাকরি করত। সেখান থেকে তারা কিছু টাকা বেতন বাবদ পায়। পরে তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেন দেবনাথ বাবু। অথচ তাদের বকেয়া টাকা মেটানো হয়নি। সেই রাগে ওই শিল্পপতিকে অপহরণ করে বাবা ও ছেলে।